ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত কূটনৈতিক সম্পর্কের এক সংবাদের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এ মন্তব্য করেন। খবর আমাদের সময়.কম
তিনি আমাদের সময়.কমকে বলেন, ভারত চায় এমন এক সরকার আসুক যে তার সীমানা সুরক্ষিত রাখবে। দল এখানে কিছু নয়। যার সাথে তার সুসম্পর্ক থাকবে তাকেই তারা চাইবে, এটাই সাবাভাবিক। চীনকে যারা প্রশ্রয় কম দিবে তাকেই তারা নিরাপদ মনে করবে।এটা তার স্বার্থ।
ড. ইমতিয়াজ বলেন, কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যান্তরীণ বিষয় বা দল নির্ধারণ করবে এ দেশেরই জনগণ। সুতরাং ভারতের চাওয়া পাওয়াতে এ দেশের জনগণের কিছু যায় আসেনা। আগে জনগণের স্বার্থ এরপর অন্যের স্বার্থ। এতে যদি কারও ক্ষতি হয় তাহলে সে ঠিক করে নিবে তার পররাষ্ট্র নীতি।
তিনি বলে, ভারত মনে করছে বাংলাদেশে যদি অন্য কোন মৌলবাদী বা এর মদদপুষ্ট কোন রাজনৈতিক দল আসে তাহলে উলফা বা এরমত অন্য জঙ্গী সংগঠন মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। যা ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়াও যদি চীন বাংলাদেশে অবাধে সংযুক্ত হয়ে যেতে পারে। তাহলে এ উপমহাদেশে ভারতের আধিপত্য বজায় রাখা অনেকটাই অসম্ভব।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তার ফায়দা নেওয়ার জন্য নির্বাচনের অজুহাতে নানান প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। এ ঘোলাটে অবস্থার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতেকে অংশীদারীত্বের সুসম্পর্কের জন্য বৈঠকের প্রস্তাব দেয় তখন ভরত এটাকে একটি তাসের তুরাগ হিসেবে এ সতর্কগুলো করেছে বলে তিনি মন্তব্য করছেন।
তিনি বলেন, ভারত আসলে চাইছে তার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র যেন বাংলাদেশকে কোনকিছু না বলে। তারা বলতে চায় আমাকে পেতে হলে বাংলাদেশের সাথে ভালো সম্পর্ক করো।
অপরদিকে তিনি বলেন, প্রধান বিরোধীদলের সঙ্গে ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরী করতে তেমন এগিয়ে আসতে না পারার কারনে ভারত তাদেরকে ভয় পাচ্ছে।
আমাদের সময়.কম