Home সারাদেশ নদ নদী খাল এই তিনে বরিশাল,নৌকা ছিল একমাত্র বাহন

নদ নদী খাল এই তিনে বরিশাল,নৌকা ছিল একমাত্র বাহন

26

ভোলায় এখনও টিকে আছে ঐতিহ্যবাহি নৌকার হাট।

নুসরাত জাহান ভোলা থেকে: আছে ভোলার লালমোহনের গজারিয়া বাজারে প্রায় ৩০ বছর ধরে চলে আসছে নৌকার হাট। এ হাটে সারা বছর নৌকা তৈরি হলেও শুস্ক মৌসুমে কেনা-বেচা জমে উঠে। প্রতি মাসে গড়ে অর্ধ-কোটি টাকার নৌকা বিক্রি হয় এখানে।
এখানে তৈরিকৃত নৌকা যাচ্ছে কক্সবাজার, খুলনা, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। সম্ভাবনাময় এ শিল্পটি জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে সরকারি বা বেসরকারি দপ্তরের কোনো নজরদারি না থাকায় এ শিল্পের তেমন প্রসার ঘটছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দ্বীপজেলা ভোলার ১৯০ কিলোমিটার জলসীমায় ২ লাখের অধিক জেলের মাছ শিকারের প্রধান বাহন হচ্ছে নৌকা বা ট্রলার। শুধু তাই নয়, উপকূলের দ্বীপচরে খেয়া পারাপারেও নৌকাই একমাত্র ভরসা। যার জন্যই এ জেলায় নৌকার কদর অনেক বেশি। তবে এই নৌকা বা ট্রলার নির্মাণে জেলায় নেই বড় কোনো প্রতিষ্ঠান।

দেখা গেছে, কাঁঠ, পেরেক, হাতুড়ি ও যন্ত্রচালিত করাতের শব্দে মুখরিত থাকে লালমোহনের গজারিয়ার এ নৌকার হাট। এখানে কাজ করা শ্রমিকরা জানান, আকার এবং আয়তন ভেদে নির্ভর করে কোন নৌকা তৈরীতে কত সময় এবং কি কি উপকরণ লাগবে। একেকটি নৌকা তৈরিতে কখনো এক সপ্তাহ আবার ১৫ থেকে ২০ দিনও সময় লাগে।

এ হাটের নৌকা কারিগর মনির উদ্দিন বলেন, আমি অনেক বছর ধরে নৌকা তৈরি করছি। আগে মজুরি কম ছিল। এখন দৈনিক পাচ্ছি ৯ শত টাকা। একই স্থানের নাগর মিস্ত্রি বলেন, এখানেই নৌকা তৈরী হয়, আবার এখানেই বিক্রি হয়। প্রতিটি নৌকা আকার ও প্রকারভেদে গড়ে ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ শিল্পটিকে আরও এগিয়ে নিতে পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রুহুল কুদ্দুছ বলেন, এ শিল্পের আরো প্রসার ঘটাতে যা যা করণীয় সেটি আমরা অবশ্যই করবো। আমরাও চাই এই নৌকা শিল্পের প্রসার হোক।

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, নৌকা তৈরির সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের উন্নয়নে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে ভোলাসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। তাই দ্রুত সরকারকে এ শিল্প টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবী তাদের।