Home রাজনীতি দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে বাসদের মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে বাসদের মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত

30

স্টাফ রিপোটার: বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ, দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ ও সরকারের পদত্যাগ করে তদারকি সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবিতে আজ ৭ জুলাই বিকেল ৫টায় ঢাকার পল্টন মোড়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড নিখিল দাস, সদস্য জুলফিকার আলী ও শম্পা বসু।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপণ্যের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। কাঁচা মরিচ আমদানির পরও দাম কমছে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও মানুষের আয় কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে ১২ কোটি মানুষ মানসম্পন্ন খাবার কিনতে পারছে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন কারসাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তারা বাজারে সংকট তৈরি করবে। এ থেকে বুঝা যায় সরকার বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ নয় বরং সিন্ডিকেটের সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করছে। সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি অথচ ব্যাপকমাত্রায় ব্যয় বেড়েছে। বর্তমান সরকার ব্যাংক আমানতকে ব্যক্তিগতভাবে লুটপাটের সুবিধা দিতে ব্যাংকের পরিচালকদের মেয়াদ ৯ বছরের পরিবর্তে ১২ বছর করেছে। ঋণখেলাপীদের সুবিধা দিতে গ্রæপ অব কোম্পানির প্রতিষ্ঠান খেলাপী যেটা বাদে বাকীদের ঋণ পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, মনোনয়নপত্র জমার ১ সপ্তাহ আগে খেলাপী ঋণ পরিশোধ বা পুন:তফসিল করার বিধান বাতিল করে মনোনয়ন দাখিলের আগের দিন পরিশোধের বিধান রেখেছে। এছাড়া আরপিও সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। একটি সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে ক্ষমতা খর্ব করার বিরোধীতা না করে ইসি বরং একেই সমর্থন করেছে যার ফলে ইসি যে সরকারের চিন্তা এবং পরিকল্পনার বাইরে যেতে চায় না তা প্রমাণ করেছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বর্তমান সরকার চরম ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। বিরোধী মত-পথ দমনের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে নিবর্তনমূলক কালো আইন জারি করেছে। লুটপাট, দুর্নীতিতে এ সরকার আকণ্ঠ নিমজ্জিত। গণতান্ত্রিক সকল প্রথা-প্রতিষ্ঠানকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেছে। নির্বাচনে টাকার খেলা, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ব্যবহার, প্রশাসন, পুলিশকে ক্ষমতাসীন দলের আজ্ঞাবহ বানানো এবং বিনা ভোটে ও রাতের ভোটে নির্বাচন করায় গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। অত্যাবশ্যকীয় পরিসেবা বিল ২০২৩ এর নামে শ্রমিকদের শেষ হাতিয়ার ধর্মঘট করার অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় থাকার সকল অধিকার হারিয়েছে। ফলে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অবশ্যই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে। মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি ও দুঃশাসন মোকাবিলায় এই গণবিরোধী আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজপথে নামার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।