Home সারাদেশ দৌলতপুরে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে ইউপি চেয়ারম্যান আহত

দৌলতপুরে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে ইউপি চেয়ারম্যান আহত

74

৩ সপ্তাহ পার হলেও আজও মামলা হয়নি : গ্রেফতার হয়নি কেউ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন আহত হওয়ার ঘটনার ৩ সপ্তাহ পার হলেও আজও থানায় মামলা হয়নি। গ্রেফতার হয়নি হামলাকারী সন্ত্রাসীদের কেউ। এ ঘটনায় এলাকাবাসী চরম ক্ষুব্ধ হলেও দৌলতপুর থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা সংশয়।
হামলার ঘটনায় সেসময় আহত চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় এজাহার দিলেও অজ্ঞাত কারনে দৌলতপুর থানা পুলিশ সে এজাহার গ্রহণ করেননি এমন অভিযোগ সন্ত্রাসী হামলায় আহত চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীনের।
গত ২৮ আগষ্ট রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন কালিদাসপুর বাজার থেকে লালনগর হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনী প্রচারনা শেষে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পার্শ্ববতী বিলপাড়া এলাকায় পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেল যোগে ৩জন সন্ত্রাসী পেছন থেকে হেলাল উদ্দীনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় হেলাল উদ্দীন পেটে ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
হামলার ঘটনায় চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও তার ভাইকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় এজাহার দিলে দৌলতপুর থানার ওসি এজাহার গ্রহণ না করে তা ফিরিয়ে দেন এমন অভিযোগ হামলার শিকার চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীনের।
সন্ত্রাসী হামলায় আহত আড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন জানান, হামলার ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান ও তার ভাই সহ কয়েকজনের নাম উলেøখ করে দৌলতপুর থানায় এজাহার দেওয়া হলে দৌলতপুর থানার ওসি মামলা না নিয়ে তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। এরপর থেকে চরম আতঙ্ক, উদ্বেগ ও উৎকÚার মধ্যে রয়েছি। তবে তার ওপর হামলার ঘটনা ৩সপ্তাহ পার হলেও হামলার সাথে জড়িত কেউ আজও গ্রেফতার না হওয়ায় তিনি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় দৌলতপুর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান বলেন, আড়িয়া ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীনের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা না হলেও ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
উলেøখ্য, আড়িয়া ইউনিয়নের লালনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজনদের সাথে হেলাল উদ্দীনের বিরোধ চলছিল। নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য হত্যার উদ্দেশ্যে ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীনের উপর হামলা করা হয়েছিল বলে এলকাবাসীর অভিমত। তবে হামলার ঘটনার পর ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন স্থগিত রাখেন।
আড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীনের ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শা¯িÍর দাবীতে সেসময় সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. এজাজ আহমেদ মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান সাক্কীর আহমেদ সহ দৌলতপুরের ১৩ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এরপরও গ্রেফতার হয়নি হামলাকারী সন্ত্রাসীদের কেউ। তা’হলে সাধারণ মানুষের নিরাত্তা কোথায় এমন প্রশ্ন সর্বসাধারণের।