Home সারাদেশ দৌলতপুরে অসময়ে পদ্মার তীব্র ভাঙন

দৌলতপুরে অসময়ে পদ্মার তীব্র ভাঙন

19

বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি : হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও বসত বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : শুষ্ক মৌসুমেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মানদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভুরকাপাড়া, কোলদিয়াড় ও মাজদিয়াড় এলাকার মানুষের কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে রায়টা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বসত বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙনরোধে স্থায়ী স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী এলাকাবাসীর।
পদ্মার ভাঙ্গন কবলিত নদী তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আসময়ে ও মুষ্ক মৌসুমে দৌলতপুরে পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। সেইসাথে প্রভাবশালী মহলের পদ্মা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালি উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙন ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। মরিচা ইউনিয়নের মাজদিয়াড়-কোলদিয়াড় গ্রাম থেকে ভুরকা-হাটখোলাপাড়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদী ভাঙনে প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। নদী ভাঙনে ফসলি জমি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। গত একসপ্তাহে বিভিন্ন ধরণের উঠতি ফসলসহ কয়েক হাজার বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে রায়টা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ। এ বাঁধ ভাঙলে দৌলতপুরসহ কুষ্টিয়া অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হবে বলে জানিয়েছেন নদীপাড়ের সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বানাত আলী। তাই তিনি সহ একাবাসী দাবী করেছেন আশ্বাস নয় ভাঙনরোধে অবিলম্বে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারানো পরিবারগুলোর মাঝে বিরাজ করছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। হুমকির মুখে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পদ্মার ভাঙন থেকে পরিত্রাণ চাই ভুরকা এলাকার বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষার্থীরাও।
তবে পদ্মার ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর কে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ সহ এলাকাবাসীকে আশ্বাস দিয়েছেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরী।

আশ্বাস নয়, সর্বগ্রাসী পদ্মা নদীর করাল গ্রাস থেকে বাঁচতে স্থায়ী সমাধান চাই নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারানো নদীরপাড়ের অসহায় মানুষ।