কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় আর নতুন সূর্যদয়কে বরন করতে পর্যটন কেন্দ্র সাগর কন্যা কুয়াকাটায় ভীড় জমিয়েছেন হাজারো পর্যটক। শনিবার সকাল থেকে সৈকতের জিরো পয়েন্ট, লেম্বুর চর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন পল্লী এবং শুটকী পল্লীসহ দর্শনীয় স্পটে রয়েছে পর্যটকদের উচ্ছাসিত উপস্থিতি। বুকিং রয়েছে অধিকাংশ হোটেল মোটেল। সমুদ্রের ঢেউয়ে সাতার কাটাসহ দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত জুড়ে পর্যটকরা নেচে গেয়ে প্রিয়জনের সাথে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। বাড়তি পর্যটকদের আনাগোনায় প্রানচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমনে ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
পর্যটক হারুন অর রশিদ বলেন, বন্ধুদের সাথে কুয়াকাটায় থার্টি-ফাস্ট নাইট উজ্জাপন করতে এসেছি। এখানকার বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট ঘুরে দেখেছি। এর অগেও বেশ কয়েকবার কুয়াকাটায় এসেছি। তখন ফেরী পার হয়ে আসতে হয়েছে। পুরাতন বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে সাগত জানাতে পদ্মা সেতু পার হয়ে মাত্র ৫ ঘন্টায় কুয়াকাটায় আসতে পেরে খুব ভালই লেগেছে।
হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো.মোতালেব শরীফ জানান, নুতন বছরকে সাগত জানাতে অনেক পর্যটক এসেছে। হোটেল গুলোর বেশীরভাগ রুমই বুকিং রয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম দর্শনীয় স্পটগুলোতে মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকে টহলও রয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে।