আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২৩৫২ জন নিহত হয়েছে । তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপে সিরিয়া সীমান্তের কাছে সোমবার ভোরে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়।ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৫শ ৪১ জন নিহত হয়েছে। প্রথম ভূমিকম্পের ১০ ঘন্টা পরে দ্বিতীয় বার ভূমিকম্প হয়।এ ঘটনায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
গত এক শতাব্দীর মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের একটি। রিখটার স্কেলে প্রথম ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৮ ভাগ। এটি স্থানীয় সময় সোমবার ভোর সোয়া চারটার দিকে আঘাত হানে। দ্বিতীয়টি মাত্রা ছিল ৮.৫। এ সময়ে লোকজন ঘুমিয়ে ছিল। ধ্বংস্তুপের নীচের অনেক লোক চাপা পড়ে আছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। কতৃপক্ষ জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে বহু সরকারি ভবন ধসে পড়েছে।

ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এদিকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশে ভূমিকম্পে অন্তত ৮শ ১০ জন নিহত হয়েছে।এছাড়া লেবানন ও সাইপ্রাসে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ভূমিকম্পে ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসিপ তায়িফ এরদোগান ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আশা করি আমরা একসাথে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব কম ক্ষতির মধ্য দিয়ে এ দুর্যোগ কাঠিয়ে উঠতে পারবো।
উল্লেখ্য, তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। দেশটিতে ১৯৯৯ সালে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে ১৭ হাজার লোক নিহত হয়।