Home সারাদেশ তিন লাখ টাকার প্রতারণা,অবশেষে পুলিশের জালে বন্দি জ্বীন

তিন লাখ টাকার প্রতারণা,অবশেষে পুলিশের জালে বন্দি জ্বীন

29

মো.পাভেল ইসলাম রাজশাহী: টিভি বিজ্ঞাপনে জ্বীন দিয়ে সকল সমস্যার সমাধান করা হয় দেখে ফোন, অতঃপর মধ্য রাতে জ্বীনের ফিরতি ফোন আসে। সব সমস্যার সমাধান পেতে মিষ্টি খাওয়ার জন্য ২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা দেয়া হয় জ্বীনকে,সমস্যার সমাধান না হতেই জ্বীন গায়েব, দপাওয়া যায় না ফোনেও। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে আইনের আশ্রয় নিলে,পুলিশ সেই জ্বীনকে বন্দি করতে সক্ষম হয়।

মানুষরুপি সেই কামরূপ কামাখ্যা,জ্বীনের নাম সবুজ মিয়া (২৫)। সে ভোলা জেলার লালমোহন থানা এলাকার গাজী বাড়ি গ্রামের নান্টু মিয়ার ছেলে। আর জীনের প্রতারণায় টাকা খোয়ানো ভুক্তভোগীর নাম জেসমিন আলম (৫৬)। তিনি রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার পদ্মা আবাসিক এলাকার মনতাজুর রহমানের স্ত্রী।

গত বুধবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার ডেমরা থানা এলাকার শুকরশী খালপাড়া থেকে জীন সবুজ মিয়াকে (২৫) গ্রেফতার করে চন্দ্রীমা থানা পুলিশের একটি চৌকস দল। এ সময় ডিএমপি’র এপিবিএন অভিযানে সহযোগিতা করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মাইটিভি’র একটি বিজ্ঞাপনের ভিডিওতে সুকৌশলে সবুজ মিয়া তার নিজের মোবাইল নম্বর যোগ করে। সেই ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে সে। সেই ফুটেজে দেওয়া নম্বরে ফোন দিয়ে প্রতারণার শিকার হন ভূক্তভোগী নারী। কয়েক ধাপে সবুজ মিয়াকে প্রায় তিন লাখ টাকা দেন ঐ নারী।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া চন্দ্রিমা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক ও তালাইমারী ফাঁড়ির ইনচার্জ এটিএম আশেকুল ইসলাম বলেন, বাদীর অভিযোগ পেয়ে তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যমে অভিযুক্ত সবুজ মিয়াকে সনাক্ত করা হয়। এরপর অভিযুক্ত জীন পরিচয় দেয়া সবুজ মিয়াকে ডিএমপি’র এপিবিএন এর সহায়তায় ডেমরা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সবুজ প্রতারণার দায় শিকার করে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী জেসমিন বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক সমস্যায় ভুগছিলাম। সে কারণে টিভিতে সমস্যা সমাধানের একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। সেখানে আমি ফোন দিলে তারা বলে আমাদের প্রধান আপনার সাথে কথা বলবে। এরপর আবার একদিন বলে জীন সরাসরি কথা বলে আপনার সমস্যা সমাধান করবে। এরপর কণ্ঠ পরিবর্তন করে বিভিন্ন নম্বর থেকে নিজেকে কামরূপ কামাখ্যা জ্বীন পরিচয় দিয়ে সে আমার সাথে কথা বলে। সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক দফায় বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় আমার থেকে। পরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। এরপর পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করলে বুঝতে পারি আমি প্রতারিত হয়েছি।

জানতে চাইলে আরএমপি’র চন্দ্রিমা থানার ওসি ইমরান হোসেন বলেন, অভিনব কায়দায় নিজেকে জ্বীন পরিচয় দিয়ে এক নারীর সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল প্রতারক সবুজ মিয়া। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে আসামি সবুজকে আটক করা হয়। আটকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।