Home সারাদেশ ঠাকুরগাঁওয়ে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ- বাণিজ্যের অভিযোগ

ঠাকুরগাঁওয়ে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ- বাণিজ্যের অভিযোগ

49

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় লক্ষ্মীরহাট নুর আলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবু তালেবের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ওই মাদ্রাসার অফিস সহকারী আল আমিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে আল আমিন ওই মাদ্রাসার অফিস সহকারী পদে যোগদান করেন। নিয়োগের জন্য মাদ্রাসা সুপার আবু তালেব পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। তবে ওই সময় বর্তমানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের উপস্থিতিতে চার লাখ টাকা দেওয়া হয়। এর পর থেকে তিনি অফিস সহকারী পদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

অভিযোগ থেকে আরও জানা গেছে, ৬ জুলাই মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয়। এরপর সুপার আবু তালেব তাঁর ছোট ভাই ইমরান আলীকে অফিস সহকারী পদে আল আমিনের পরিবর্তে আগের নিয়োগ দেখিয়ে বিলের জন্য নথি জমা দেন।

আল আমিন বলেন, ‘স্বজনপ্রীতি আর অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে সুপার আবু তালেব এখন নিয়োগ-বাণিজ্য শুরু করেছেন। ২০ বছর বিনা বেতনে পরিশ্রম করলাম। সরকার যখন আমাদের অসহায়ত্বের কথা ভেবে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত করল, তখন সুপার নিয়োগ নিয়ে বাণিজ্য শুরু করে দিলেন। আমি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।’

ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, ‘আল আমিনের নিয়োগ হয়েছে। জানা মতে মাদ্রাসা উন্নয়নের জন্য আল আমিনের কাছে সুপার টাকা নিয়েছেন। এ-ও শুনেছি, সুপার তাঁর ভাই ইমরান আলীর নামে বিল পাঠিয়েছেন। তবে আল আমিন যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে ওই মাদ্রাসায় রয়েছেন, তিনি বিলের অধিকার রাখেন।’

ওই মাদ্রাসার সুপার আবু তালেব টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, আল আমিনের সঙ্গে তিনি বসবেন এবং তাঁর অভিযোগের বিষয়টি সুরাহা করবেন।

মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি সুপারের আপন চাচাতো ভাই আবু বক্কর মাস্টার জানান, চার মাস আগে তিনি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। নিয়োগ নিয়ে বাণিজ্যের বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে আল আমিনের নিয়োগ অনেক আগেই হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ‘অফিস সহকারী আল আমিনের বিষয়টি আমি দেখব। তাঁকে আগামী সোমবার আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বলেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যা নেওয়ার তা নেওয়া হবে।’