Home রাজনীতি ট্রেনে আগুন নিয়ে বিএনপির নেতাদের মিথ্যাচার হত্যাকান্ডের চেয়েও বীভৎস কুৎসিত : তথ্যমন্ত্রী

ট্রেনে আগুন নিয়ে বিএনপির নেতাদের মিথ্যাচার হত্যাকান্ডের চেয়েও বীভৎস কুৎসিত : তথ্যমন্ত্রী

17

স্টাফ রিপোটার : ‘ট্রেনে আগুন নিয়ে বিএনপি নেতা রিজভী সাহেবদের মিথ্যাচার হত্যাকান্ডের চেয়েও নারকীয় বীভৎস ও কুৎসিত কদাকার’ বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে সচিবালয়ের তথ্য অধিদফতর সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সবসময় দেশে শান্তি স্থিতি বজায় রাখতে চায়, সকল ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে প্রতিহত করতে চায়। আর সরকার ও দেশকে অস্থিতিশীল করার হীন উদ্দেশ্যে নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি-জামায়াত ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিলো এখনও একই কায়দায় সেটি করছে, এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। গত পরশু তেজগাঁওয়ে ট্রেনের বগিতে আগুন দিয়ে যে নারকীয়ভাবে মা ও সন্তানসহ আরো দু’জনকে এবং ইতিপূর্বে বহু মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, তার চেয়েও আরো বেশি জঘন্য কুৎসিত কদাকার এবং সেই সন্ত্রাসের চেয়েও নারকীয় বীভৎস হচ্ছে রিজভী সাহেবদের মিথ্যাচার।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রিজভী সাহেব সম্পর্কে আমি এই শব্দগুলো ব্যবহার করতে চাই না। কিন্তু তার যে বক্তব্য, সে প্রেক্ষিতে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, তার মিথ্যাচার নরকের কীটের চেয়েও জঘন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা এই সমস্ত ঘটনা ঘটিয়ে, ঘটনার নির্দেশ দিয়ে আবার সেগুলোকে আড়াল করার চেষ্টা করে, তারাও সমান অপরাধী। জনগণের দাবি উঠেছে, এই জঘন্য, কুৎসিত, কদাকার মিথ্যাচার যারা করছে, নরকের কীটের মতো আচরণ করছে, কথা বলছে, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার। শুধু আগুনসন্ত্রাসী না, তাদের হুকুমদাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।’

নির্বাচনে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন ও ভোটার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, ‘ইতিমধ্যে জনগণের ভেতরে যেভাবে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে এবং গড়ে প্রতিটি আসনে ৭ জনের বেশি প্রতিদ্বন্দ্বী, সে কারণে নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।যে যতো কথাই বলুক, নির্বাচন বিরোধীরা যতো চেষ্টাই করুক, ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি হবে এতে কোনো সন্দেহ নাই। ভোটার উপস্থিতির জন্য বাড়তি কোনো প্রচেষ্টার প্রয়োজন আমরা মনে করি না। আর বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনে তাদের কর্মীরাই নেতাদের সহযোগিতা করছে না।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে। এখন সরকারের সমস্ত প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হয়েছে। আপনারা জানেন, ক’দিন আগে নির্বাচন কমিশন দেশের বেশির ভাগ ইউএনওদের এবং অর্ধেকের বেশি থানার ওসি বদলি করেছে, কয়েকজন ডিসিকে বদলি করেছে। নির্বাচনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সুতরাং ভোট সুষ্ঠু করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। সরকার এই ক্ষেত্রে সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে।’