Home জাতীয় জামালপুর সদরের ১৫ ইউপি নির্বাচন,ব্যালট আসে ভোরে

জামালপুর সদরের ১৫ ইউপি নির্বাচন,ব্যালট আসে ভোরে

36

সুমন আদিত্য,জামালপুর প্রতিনিধিঃ ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে জামালপুর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহন শুরু। ইভিএম পদ্ধতিতে হতে যাওয়া একটি ইউপির ভোট কেন্দ্রগুলোতে ১০ নভেম্বর ইভিএম বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া বাকি ১৪টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ করা হবে গোপন ব্যালটে। এর মধ্যে ১০টি ইউপিতে শুধুমাত্র ব্যালট পেপার এসেছে ১১ নভেম্বর ভোরে। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা নির্বাচন কার্যালয় সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

জানা গেছে, এবার ১৫টি ইউপির মধ্যে পাঁচটিতে চেয়ারম্যান পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া পাঁচ ইউপির মধ্যে বাঁশচড়া ইউপিতে সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ভোট হবে ইভিএম পদ্ধতিতে।

একইভাবে বাকি ১০টি ইউপিতে প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ১০ নভেম্বর বিকেলের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট সকলেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন শুধুমাত্র ব্যালট পেপার ছাড়া বাকিসব নির্বাচনী সামগ্রী নিয়ে। এই ১০টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনপূর্ব ব্যাপক উত্তাপ, উৎপাত, উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি নানা অঘটন ঘটায় অধিকতর নিরাপত্তার স্বার্থে ভোটের আগের রাতের পরিবর্তে ভোটের দিন ভোরে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

একাধিক সূত্র জানায়, জামালপুর সদরের ১৫টি ইউনয়নের মধ্যে রশিদপুর, দিগপাইত, বাঁশচড়া, রানাগাছা ও ইটাইল এই পাঁচ ইউপিতে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকে পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আগেই। বাকি ১০টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকে মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীসহ একাধিক স্বতন্ত্রপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ১০টি ইউপিতে এখনো বড় ধরনের কোন নির্বাচনী সহিংসতা না ঘটলেও কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে সরব থাকায় সর্বত্রই আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দলে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী এলাকাগুলো।

এদিকে ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১৫টি ইউনিয়নের ১৬৩টি কেন্দ্রে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রের আইনশৃংখলা রক্ষায় পাঁচজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ১৫টি ইউপিতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অধিকতর নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ পাহারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে ১০টি ইউপির চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদের শুধুমাত্র ব্যালট পেপার ১১ নভেম্বর ভোরে প্রতিটি কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। নির্বাচনী স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং ভোটের আগের রাতে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।