Home Uncategorized জামালপুর ধর্মঘটে যাত্রীদের একমাত্র ভরসা ট্রেন

জামালপুর ধর্মঘটে যাত্রীদের একমাত্র ভরসা ট্রেন

47

সুমন আদিত্য,জামালপুর প্রতিনিধিঃ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সারাদেশের মতো জামালপুরে চলছে তৃতীয় দিনের পরিবহন ধর্মঘট, এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার সকল শ্রেণিপেশার মানুষ। জামালপুরে এই পরিবহন ধর্মঘটে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ট্রেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে,গত দুই দিনের মত রবিবার (৭ নভেম্বর) সকাল থেকে সড়কে বাস চলাচল না করায় যাত্রী সাধারণ দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করছে, অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সিএনজি, অটোরিকশা করে ভেঙে ভেঙে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। আবার কেউবা ট্রেনকেই নিরাপদ হিসেবে বেছে নিয়েছে। জামালপুরে ট্রেন সহজলভ্য হওয়ায় সবাই স্টেশনের দিকেই ছুটতে দেখা গেছে।

ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বলছেন, হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও এখন পর্যন্ত তাদের কাঙ্খিত ভাড়া সমন্বয় করা হয়নি। তাই তাদের দাবি- হয় ভাড়া বাড়ানো হোক, নতুবা তেলের দাম কমানো হোক। এই দুটোর একটা না করা হলে রাস্তায় পরিবহন নামাবেন না তারা।

জামালপুর বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় সাইদুল নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি জানান, হঠাৎ করে এভাবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা ঠিক হয়নি, এতে করে আমরা সাধারণ জনগণ বিপাকে পড়েছি, সকাল থেকে পরিবার নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছি, কিন্তু দূরপাল্লার কোনো বাস নেই, কিভাবে যাবো চিন্তা করছি, সিএনজি-অটোরিকশা দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করছে। তাই রেল স্টেশনে যাচ্ছি যদি ট্রেন পাওয়া যায়। এই ধর্মঘটে সাধারন জনগণের কোন লাভ নাই। খরচ বাঁচানোর জন্য ট্রেনই আমাদের একমাত্র ভরসা।

তার মতো অনেক যাত্রী সাধারণ বলেন, সরকারের এভাবে ডিজেল,কেরোসিনের দাম এক লাফে ১৫টাকা বাড়ানো ঠিক হয়নি, এতে আমরা মধ্যবিত্তরা চরম দূর্ভোগের সম্মুখীন, এই বিষয়ে সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত আশা করছি। আমাদের জেলায় ট্রেন সহজলভ্য হওয়ায় আমরা সহজেই ঢাকা-ময়মনসিংহ যেতে পারছি কিন্তু যেখানে ট্রেন নেই সে এলাকার জনসাধারণের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কষ্ট করে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম যুগবার্তাকে জানান, আমাদের এই আন্দোলন যৌক্তিক, এই আন্দোলনের সঙ্গে সাধারণ জনগণের স্বার্থ জড়িত। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ভাড়া সমন্বয়ের ব্যাপারে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তাই ভাড়া সমন্বয় করা হোক, নতুবা তেলের দাম কমানো হোক, নতুবা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।