Home জাতীয় জামালপুরে মহিলা ক্বওমী মাদ্রাসা থেকে তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ

জামালপুরে মহিলা ক্বওমী মাদ্রাসা থেকে তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ

27

সুমন আদিত্য,জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় দারুত তাক্বওয়া মহিলা ক্বওমী নামে একটি মাদ্রাসা থেকে গত তিনদিন ধরে তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মো. আসাদুজ্জামান ইসলামপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এ ঘটনায় দুই শিক্ষক দুই শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাত সাড়ে এগারোটার দিকে আটক করেছেন থানা পুলিশ।

ইসলামপুর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালেরচর ইউনিয়নের মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ বীরউত্তম সেতুর পূর্বপাড়ের বাংলা বাজার এলাকায় দারুত তাক্বওয়া মহিলা ক্বওমী মাদ্রাসাটি অবস্থিত। গত দেড়বছর থেকে মাদ্রাসাটির কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে ৪জন পুরুষ ও ৪জন মহিলা শিক্ষক ও ৮০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে আবাসিক ৫০ জন বাকি শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে আসতেন।

মাদ্রাসাটিতে গত রোববার ভোর থেকে উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ারচর সরদারপাড়া গ্রামের মাফেজ শেখের মেয়ে মীম আক্তার (৯), গোয়ালেরচর ইউনিয়নের সভূকুড়া গ্রামের সুরুজ্জামানের মেয়ে সূর্যবানু (১০) ও মোল্লাপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা (১১) নামের দ্বিতীয় শ্রেনির তিন শিক্ষার্থী রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ রয়েছে।

এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার (ইসলামপুর সার্কেল) সুমন মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ সোমবার রাতেই মাদ্রাসার অবস্থানরত সকল শিক্ষার্থীদের অভিবাবকদের হাতে তুলে দিয়ে মাদ্রাসাটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মো. আছাদুজ্জামান, হাফেজ ইলিয়াস, রজনী বেগম, শুফুরী আক্তার নামে চারজনকে রাতেই থানায় আনা হয়।

মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মাদ্রাসাটি আবাসিক হওয়ায় শিক্ষার্থীরা রাতে মাদ্রাসাতেই থাকে। ঘটনার দিন ভোর রাতে শিক্ষার্থীদের ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে জাগানো হয়। অন্যান্য ছাত্রীদের মতোই দ্বিতীয় শ্রেণির ওই তিন ছাত্রীও নামাজের প্রস্তুতি নেয়। নামাজের পর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের উদ্ধারে থানায় জিডি করা হয়েছে মাদ্রাসা থেকে।

মঙ্গলবার বিকালে ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাজেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সকল শিক্ষার্থীকে রাতেই তাদের অভিবাবকদের হাতে তুলে দিয়ে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মুহতামিম মাওলানা আসাদুজ্জামানসহ চরজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় রাখা হয়েছে। নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের খোঁজে বের করতে চেষ্টা চালছে বলে তিনি জানান।