Home সারাদেশ জামালপুরে কলেজ কর্মচারীকে মারধর করে কবরস্থানে তুলে নিয়ে গেলেন ছাত্রলীগ নেতা

জামালপুরে কলেজ কর্মচারীকে মারধর করে কবরস্থানে তুলে নিয়ে গেলেন ছাত্রলীগ নেতা

17

সুমন আদিত্য,জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের এক কর্মচারীকে কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে মারধর করে রিক্সায় তুলে নিয়ে যায় কবরস্থানে। পরে চিৎকার করে ডাকাডাকি করায় রক্ষা পেয়েছেন ঐ কর্মচারী। এসব অভিযোগ ঐ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ কয়েকজনের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

বুধবার দুপুরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগী দুই জনের নাম উল্লেখ করে তিন-চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসামিরা হলেন ঐ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শামীম আহম্মেদ ও সহ-সভাপতি নাদিম হাসান। এদিকে এঘটনার পরে দুই নেতাকে জেলা ছাত্রলীগ সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে।

মারধরের শিকার ঐ কর্মচারীর নাম মো. হেলাল উদ্দিন। তিনি কলেজের হিসাবরক্ষক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে শামীম আহম্মেদ ও নাদিম হাসানের নেতৃত্বে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী কলেজের সাধারণ শাখায় কম্পিউটার কক্ষে আসেন। শামীম আহমেদ অন্য কলেজ থেকে ট্রান্সফারের মাধ্যমে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে এই কলেজে ভর্তি নিতে বলেন। তখন মো. হেলাল উদ্দিন অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া কারও নাম ভর্তির তালিকায় তুলতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ছাত্রলীগ নেতারা তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা টেনেহিঁচড়ে হেলাল উদ্দিনকে ঐ কক্ষ থেকে বের করে একটি অটোরিক্সায় উঠিয়ে নেন। অটোরিক্সায় তাঁকে মারধর করতে করতে শহরের পৌর কবরস্থানে নিয়ে যান। এসময় হেলাল উদ্দিনের ডাকাডাকি ও চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ঐ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাঁকে রেখে পালিয়ে যান। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় হেলাল উদ্দিনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এবিষয়ে জানতে সকাল থেকে একাধিকবার ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহম্মেদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

এবিষয়ে জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম বলেন,’ শামীম ও নাদিমকে কলেজ শাখা থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা সাত দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

জামালপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন,’সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।’