Home সাহিত্য ও বিনোদন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

36

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ ২৭শে আগস্ট রবিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে।
সকাল ৮টায় বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদার নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ জাতীয় কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল ১০:৪৫টায় বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন এবং মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদার নেতৃত্বে একাডেমির নজরুল মঞ্চে স্থাপিত নজরুল-ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সকাল ১১টায় একাডেমির অবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। নজরুল বিষয়ক একক বক্তৃতা প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মোঃ হাসান কবীর।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নজরুলের পত্র পাঠ করেন বাচিকশিল্পী নূরননবী শান্ত এবং নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী বেলায়াত হোসেন। নজরুলগীতি পরিবেশন করেন শিল্পী সুমন চৌধুরী, কল্পনা আনাম এবং কমলিকা চক্রবর্তী।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, নজরুল অভেদসুন্দরের সাধক। তিনি কালের শিল্পী এবং কালকে অতিক্রম করে মহাকালকে স্পর্শ করে চলেছেন। নজরুল প্রয়াণ দিবসে একটাই প্রত্যাশাÑ আমরা যেন নজরুলের সৃষ্টির মর্মবাণীকে ধারণ করে তাঁর যথার্থ উত্তরসাধক হতে পারি।
অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল বলেন, নজরুল মূলত বিপ্লবের কবি। তিনিই ব্যক্তিগত জীবন এবং সাহিত্যে ভাঙনের গান গেয়েছেন কারণ নতুন সৃষ্টির জন্য ভাঙন প্রয়োজন। তাঁকে নিয়ে সবসময় রাজনীতি হয়েছে। স্বার্থান্ধ মহল তাঁকে তাদের প্রয়োজনমতো ব্যবহার করতে চেয়েছে কিন্তু নজরুল কোনো সীমানায় আবদ্ধ হওয়ার মতো কবি নন। তিনি বলেন, বাংলা সাহিত্যে ত্রিশ দশকের কবিদের কেউ কেউ নজরুলকে স্বীকারে উদারতার পরিচয় দেননি। তাঁরা কখনও কখনও নজরুলের আধুনিকতা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন কিন্তু আমরা মনে করি কালধর্মকে নজরুল যে সার্থকভাবে তাঁর সাহিত্যকর্মে ধারণ করে গণচিত্তকে স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছেনÑ তাতেই তাঁর আধুনিকতার সূত্রসার নিহিত।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, নজরুল আমাদের চেতনার বাতিঘর। তাঁর সৃষ্টি আমাদের ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে সত্য, শুভ ও সুন্দরের পথে অনন্ত দিকনির্দেশিকা হিসেবে কাজ করে চলেছে।
ড. মোঃ হাসান কবীর বলেন, কবি নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত প্রাঙ্গণ বাংলা একাডেমির বর্ধমান ভবন। বাংলা একাডেমি নজরুলের স্মৃতি ও চেতনাকে ধারণ করে আছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া।