ডেস্ক রিপোর্ট: ছোট্ট একটি ছাগলছানা, নাম সিম্বা। ৫ জুন পাকিস্তানের করাচিতে জন্ম হয়েছে সিম্বার। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়েছে প্রাণীটি। মূলত বিশেষ শারীরিক বৈশিষ্ট্য ছাগলছানাটিকে পরিচিতি এনে দিয়েছে। সিম্বার রয়েছে বিশালাকারের দুটি কান। অনেকেই বলছেন, সিম্বা বিশ্বের সবচেয়ে বড় কানের ছাগল। তবে এই দাবির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি এখনো পায়নি প্রাণীটি।

সিম্বাকে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিম্বার মালিকের নাম মোহাম্মদ হাসান নারেজো। তাঁর বাড়ি করাচিতে। ৫ জুন তাঁর বাড়িতেই জন্ম নেয় একটি ছাগলছানা। তিনি প্রাণীটির নাম রাখেন সিম্বা। জন্মের পর থেকে নজর কাড়ে সিম্বার বড় আকারের দুটি কান। হাসান নারেজো সংবাদমাধ্যমকে জানান, সিম্বার একেকটি কান ১৯ ইঞ্চি বা ৪৬ সেন্টিমিটার লম্বা।

কিন্তু সিম্বার কান এত লম্বা হলো কীভাবে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে। সংবাদমাধ্যমের খবর, মূলত জিনগত পরিবর্তন কিংবা কোনো রোগের কারণে ছাগলছানাটির কান এত লম্বা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে হাসান নারেজো জানিয়েছেন, সিম্বা পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে। প্রাণীটির মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কোনো লক্ষণ নেই।

হাসান নারেজোর মতে, সিম্বা বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কানের অধিকারী ছাগল। এ জন্য আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেতে তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করবেন। গিনেস কর্তৃপক্ষ দ্রুত সিম্বাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে বলেও আশা তাঁর।

সিম্বা নুবিয়ান জাতের ছাগল। পাকিস্তানে এ প্রজাতির ছাগল বড় কানের জন্য পরিচিত। তবে সিম্বার মতো এত বড় কানের নুবিয়ান ছাগলের খোঁজ আগে পাওয়া যায়নি। হাসান নারেজো জানান, চলাফেরা করতে গিয়ে অনেক সময় সিম্বার কান মাটি ছুঁয়ে যায়। তবে এত বড় কানের জন্য ছাগলছানাটির চলাফেরায় কোনো সমস্যা হয় না।
-প্রথম আলো