Home জাতীয় চাখারে আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর: দু’ছাত্রলীগ নেতাকে বহিস্কারের সুপারিশ

চাখারে আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর: দু’ছাত্রলীগ নেতাকে বহিস্কারের সুপারিশ

49

রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি: বরিশালের বানারীপাড়ার চাখারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান মিলনের ওপর হামলার ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এরা হলেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তানভীর আহম্মেদ রনি ও যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বিকালে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক জরুরী সভায় বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কাছে চাখার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ্ ও সাধারণ সম্পাদক তৌসিফ আহস্মেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদেরকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আলী হাওলাদার ও সহ-সভাপতি মমিনুল কবির মিঠুন। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আলী হাওলাদার বলেন,বহিস্কারের সুপারিশ পত্র পেয়েছি দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রসঙ্গত,সদ্য অনুষ্ঠিত চাখার ইউপি নির্বাচনের সময় উপজেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হুমায়ুন কবির হত্যা মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামী ও নৌকার প্রার্থী সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. মালেক হাওলাদারের কাছ থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের চাবি নেন। ১৯ জুলাই সোমবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. মালেক হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান মিলন নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকুর কাছে চাবি চান। টুকু জনৈক আলমগীরের কাছ থেকে তাদের চাবি নিতে বললে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান মিলন দলীয় কার্যালয়ের চাবি কেন বিএনপি কর্মী আলমগীরের কাছে রাখা হয়েছে তা টুকুর কাছে জানতে চান। এনিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে টুকুর অনুসারী মো.কালাম,তার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তানভীর আহম্মেদ রনি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজসহ কয়েকজন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জমান মিলনকে মারধর করে। গুরতর আহত অবস্থায় তাকে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওয়াহেদুজ্জামান মিলন বাদী হয়ে কালাম তার ছেলে ছাত্রলী নেতা রনি ও রিয়াজ এবং সেলিম বেপারীকে সুনির্দিষ্ট ও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পরপরই গ্রেফতার এড়াতে আসামীরা আত্মগোপনে চলে যান। এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।