Home রাজনীতি গবেষণার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ না করেই রিপোর্ট দিয়েছে টিআইবি: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

গবেষণার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ না করেই রিপোর্ট দিয়েছে টিআইবি: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

15

স্টাফ রিপােটার: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল একটি রিপোর্ট পেশ করেছে, তারা বলতে চাচ্ছে যে এটি গবেষণা গত ৭ জানুয়ারিতে যে নির্বাচন হয়েছে সে নির্বাচনে গুণগত মান নিয়ে তারা গবেষণা করেছে এটি তাদের দাবি। নির্বাচন হওয়ার ১০ দিনের মাথায় তারা এই গবেষণাটি করেছে এবং বেশকিছু উপসংহারে তারা পৌঁছেছে। এতো অল্প সময়ে এতো বড় একটি কাজ করা কি করে সম্ভব, এটি আমার বোধগম্য নয়। টিআইবি’র এই গবেষণার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ না করেই রিপোর্ট দিয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩০০টি আসনের মধ্যে দৈব্যচয়ণের মাধ্যমে তারা ৫০টি আসন সিলেক্ট করেছে। তথ্য প্রদানকারী মূলত তাদেরকে তথ্য না দিয়ে তাদের মতামত দিয়েছে। যেটা মতামত সেটাকে তারা তথ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে। এই ৫০টি আসনে কতগুলো কেন্দ্র বা কতগুলো পোলিংবুথ তারা তাদের গবেষণায় নিয়েছে এটা উল্লেখ করেনি, তার কোন পদ্ধতি অনুসরণ করেছে সেটা উল্লেখ নাই। তিনি জানান, গোটা বাংলাদেশে ৪২ হাজার ৩শ’ ৫০টি কেন্দ্রে ২ লাখ ৬১ হাজার ৫শ’ ৬৫টি পোলিংবুথ ছিলো। তারা ক্যালকুলেশনে পৌঁছে গেছে যে ৫১ শতাংশ আসনে পোলিংবুথে প্রকাশ্যে সীলমারা হয়েছে এবং জাল ভোট পড়েছে এটা একটা অসম্ভব বিষয়।

টিআইবিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকমানের কোনো জার্নালে তাদের এই গবেষণা প্রকাশ করবে না। কারণ এটি গবেষণার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের কোনো পদ্ধতি অনুসরণ করেনি। এটা গোঁজামিল দিয়ে একটি রিপোর্ট দাঁড় করানো হয়েছে খুবই দুঃখজনক হলেও সত্যি এই কাজটি করা হয়েছে এবং যারা সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের নির্বাচন ও পলিটিক্যাল সাইন্স এই বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণার কোনো অভিজ্ঞতা নেই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ড্রোনাল ট্রাম্পের নির্বাচনের পরে প্রতিষ্ঠানের ওপর যেভাবে আস্থা চলে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের সেগুলো খুব ভয়ানক। আমরা চেষ্টা করছি ইলেকশন কমিশনকে স্বচ্ছ করার। আপনারা জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে ৮২টি নতুন রিফর্ম করা হয়েছে, ইলেকশন কমিশনকে শক্তিশালী করার জন্য। ইলেকশন কমিশন গঠন আইন করা হয়েছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদি ইলেকশন কমিশনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি। মানুষের আস্থা আনার চেষ্টা করছি। অথচ সত্যি কথা না বলে এ ধরণের গোঁজামিল হাজির করে অসত্য তথ্যের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করলে প্রতিষ্ঠান দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাবে বলেন প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

বাংলাদেশের যে সুশীল সমাজ আছে তারা সততা, নিষ্ঠার সাথে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে ফলাফল জনগণের সামনে উপস্থাপন করবেন। গুণগত, কোয়ালিটিটিভ বা সংখ্যাগত বা কোয়ানটিটিভ দুটি মিশ্র পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। কিন্তু এখানে কনফিডেন্ট ইন্টারফেল কোথায়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিআইবি তিনজন করে বেছে যে ১৪৯জন প্রার্থীর তথ্য সংগ্রহ করেছে সেই বিষয়টি কীভাবে নির্ধারণ করলেন। সেটার কোনো উল্লেখ নাই। কোনো সাইন্স নাই এই গবেষণায়। ইলেকশন কমিশন ৭৬২জনকে শোকজ করেছে এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যাদেরকে ৩ বার করে শোকজ করা হয়েছে। কেন শোকজ করেছে কিছু না কিছু অভিযোগ এসেছে, তাই করেছে। মামলাদায়ের করা হয়েছে ৬৩টি। কেন মামলাদায়ের করা হয়েছে। নির্বাচনের বিষয়ে কেউ কেউ হয়তো সঠিকভাবে মেনে চলেনি, সে জন্য করা হয়েছে।
১৪০টি কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরণের অনিয়মের অভিযোগ আসছে। ২১টি কেন্দ্রে পোলিং সাসপেন্ড করেছে ইলেকশন কমিশন, ৯টি কনস্টিটিউশনে ৪২ জনকে এরেস্ট করা হয়েছে। যেগুলোতে অনিয়ম হয়েছে সেগুলোতে একশন হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থীতাই বাতিল হয়েছে, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন । নির্বাচন কমিশনের এই যে শক্ত অবস্থান এটি কোথাও বলা হয়নি।