Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস গণরুম বন্ধের দাবিতে আলটিমেটাম ও মশাল মিছিল

গণরুম বন্ধের দাবিতে আলটিমেটাম ও মশাল মিছিল

52

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম সংস্কৃতির বিলুপ্ত করে ১ম বর্ষেই বৈধ সীট নিশ্চিতের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী ) সন্ধ্যা ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে আগামী ২ মার্চের মধ্যে গণরুম বন্ধের আলটিমেটাম দেন তারা। নতুবা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করার হুশিয়ার দেন আন্দোলনকারীরা।
সমাবেশে তারা চার দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো- ১.অবিলম্বে গণরুম সংস্কৃতি বিলোপ করে শিক্ষার্থীদের বৈধ সিট নিশ্চিত করতে হবে। ২.অবৈধ শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে হল থেকে বহিস্কার করতে হবে। ৩.নতুন সব হল চালু করে,প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে।৪.পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে,ডাইনিং গুলোকে মানসম্মত করতে হবে।

সমাবেশে তারা বলেন, গণরুম স্পষ্টতই একটি মেধা বিধ্বংসী ব্যবস্থা। সতেজ,সজীব,নবীন শিক্ষার্থীদের মেরুদণ্ডকে ভেঙ্গে ফেলার উদ্দেশ্যেই এই গনরুম। রাজনৈতিক কর্মী সাপ্লাইয়ের কারণেই এই গণরুম ব্যবস্থা জিইয়ে রাখে প্রশাসন। তাই তারা হলে হলে রুম ফাঁকা রেখে,কৃত্রিম সিট সংকট দেখিয়ে,নবীন শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রাখছে। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে তৈরি করছে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক দাস হিসেবে, তৈরি করছে অনুগত কিছু উশৃঙখল গুন্ডা ও সন্ত্রাসীগোষ্ঠী।

সমাবেশে ৫১ তম ব্যাচের দর্শন বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সজীব বলেন, প্রায় ২ সপ্তাহ হলো আমরা গণরুমে থাকছি। আমাদেরকে ৫০ তম ব্যাচের সিনিয়ররা প্রায় প্রতিদিনই রাত ৩ টায় ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে এবং বাইরে মিছিল করতে বাধ্য করে। তারা সব জায়গায় আমাদেরকে সীমাবদ্ধ করে রেখেছে। তারা আমাদেরকে হলের ডাইনিং, ক্যান্টিনে খেতে দেয় না। এমনকি ক্যাম্পাসের সব জায়গায় আমাদেরকে যেতে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে তারা। আমরা যেন তাদের হাতের খেলনায় পরিণত হয়েছি। আমরা এই গণরুম সংস্কৃতি বিলোপ করে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবি জানাই।

ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অমর্ত্য রায় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন প্রথম রাতেই ভেঙে যায়। প্রশাসন আমাদেরকে প্রতি বছর গণরুম বন্ধের আশ্বাস দিয়ে জিম্মি করে রাখে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রশাসন যদি নতুন হলগুলো উদ্বোধন না করে তাহলে আমরা রেজিস্ট্রার ভবন অবরোধে যাব।