Home রাজনীতি গণতান্ত্রিক অধিকার নেই বলেই দুর্নীতি আজ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে–রিজভী

গণতান্ত্রিক অধিকার নেই বলেই দুর্নীতি আজ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে–রিজভী

36

সুব্রত সানা:বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতান্ত্রিক অধিকার নেই বলেই দুর্নীতি আজ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া কিছু ব্যবসায়ী এবং দুর্নীতিবাজ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হরিলুটে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। দেশের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় খাতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির বিস্তার ঘটিয়েছে তারা। আজ গণমাধ্যমে এক প্রেস ব্রিফিং এ একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শ্লোগান ছিল-সোনার বাংলা শ্মশান কেন ? আর এখন জনগণ বলে-“সোনার বাংলা নরক কেন ?” কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই শোষণ, লুন্ঠন, অবিচার, রাজনৈতিক হত্যা আর উৎপীড়ণে দেশে ভয়াবহ কলঙ্ক রচনা করে।
রিজভী আরও উল্লেখ করেন, গতকাল মঙ্গলবার আপনারা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্ট দেখেছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারের ভ্যাকসিন ক্রয় ও ব্যবস্থাপনায় ২৩ হাজার কোটি টাকার গরমিল রয়েছে। অর্থাৎ ভ্যাকসিন ক্রয় এবং ব্যবস্থাপনার নামে নিশিরাতের সরকার রাষ্ট্রের তথা জনগণের ২৩ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। প্রাক্কলিত ব্যয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রদত্ত হিসাবের অর্ধেকেরও কম। এছাড়াও ১০.১% নাগরিক টিকার জন্য ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন। ১ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে পছন্দ অনুযায়ী টিকা প্রদান করা হয়েছে এবং টিকা না নিয়েও টাকার বিনিময়ে প্রবাসীরা টিকা সনদ সংগ্রহ করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশের জন্য বিপদ আর আমাদের দেশের আওয়ামী লীগের লোকজনের কাছে মহাউৎসবে মেতে ওঠা। তাই করোনা গোটা মানবজাতির জন্য ভীতির কারণ হলেও আওয়ামী ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর কাছে ছিল ‘আনন্দবার্তা’। তারা রাজনীতি করছেন দুর্নীতির কাছে নিঃস্বার্থ আত্মনিবেদনের জন্য। আর উন্নয়ন মানে তাদের পকেটের উন্নয়ন।

এই বিএনপি নেতা বলেন, হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শামসুল ইসলামকে গ্রেফতার করার পর তার ওপর নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। একজন স্বনামধন্য আইনজীবী হিসেবে নিজ জেলায় পরিচিত। কিন্তু গ্রেফতারের পর শামসুল ইসলাম সাহেবকে হাতকড়া পরিয়ে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা-যাওয়া করা হয়। এছাড়াও কারাগারে তাকে ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছে। গ্রেফতারের পর তার ওপর চালানো হয়েছে অবর্ণনীয় শারীরিক নির্যাতন। তার একমাত্র অপরাধ ছিল বিএনপি’র সমাবেশে পুলিশের নির্বিচারে গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ এমনভাবে তাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সাজিয়েছে যারা অরাজকতা, হিংসা, নির্যাতন ও হত্যায় আগ্রহী। আমি এ্যাডভোকেট শামসুল ইসলামের ওপর পুলিশী নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।