Home রাজনীতি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতেই তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে আদেশ

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতেই তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে আদেশ

27

ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান ও তার স্ত্রী এবং জেডআরএফ’র ওভারসিজ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মেধাবী কার্ডিওলোজিস্ট ডা. জুবাইদা রহমানের সম্পদ আদালত কর্তৃক ক্রোকের আদেশের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)। আজ রোববার (৮ জানুয়ারি ) এক বিবৃতিতে ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, গোটা দেশের মানুষ যখন সরকার পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষুব্ধ, তখন কথিত দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী মেধাবী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে নেওয়ার অপচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়। কারণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের জন্য তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশবাসী এখন ঐক্যবব্ধ। মূলত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করা এবং নিজেদের পতন টের পেয়ে সরকার আদালতের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে ফরমায়েশি আদেশ প্রদান করিয়েছে।
তিনি বলেন, এখান থেকেই প্রমাণিত হয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধী মতকে দমনের মাধ্যমে আবারো একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। এই লক্ষ্য পূরণ এবং বিএনপিকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফরমায়েশি আদেশ প্রদান করা হয়েছে। অথচ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ওয়ান ইলেভেনের সেনাসমর্থিত সরকারের আমলে তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো মামলা করা হয়েছিল। সেই মিথ্যা মামলায় সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। কারণ তারা জানে যে, এমন সময় এই আদেশ দেওয়া হলো যখন ভোটারবিহীন অবৈধ গায়ের জোরের আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ ফুঁসে উঠেছে। এই মুহুর্তে এ ধরণের আদেশ সাধারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। পাশাপাশি বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থার সঙ্কটও তৈরি হয়েছে।
ডা. ডোনার বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উপর হামলা, মিথ্যা মামলা অব্যাহত রেখেছে সরকার। এখন জাতীয়তাবাদের আগামীদিনের কাÐারি তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় রায় ও সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে। তার কারণ জনাব তারেক রহমান বাংলাদেশের কোটি কোটি তরুণের রাজনৈতিক মডেল। যার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত। যিনি বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে দেশের জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ এবং জেগে উঠেছে। সম্প্রতি তিনি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা ঘোষণা দিয়ে নিজের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও যোগ্যতাকে আন্তর্জাতিক পরিমÐলে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
শুধু তাই নয়, মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় সন্তান তারেক রহমান। তার মতো ব্যক্তি দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি কল্পনাতীত। অথচ তারেক রহমান জেডআরএফের মাধ্যমে দেশের গরিব মানুষের ভাগ্য বদলের লক্ষ্যে নানামুখী কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি নিজে গ্রামে গ্রামে গিয়ে গরিব-দু:খী মানুষকে হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল, ফসলের বীজ ও সার বিনামূল্যে প্রদান করেছেন। তার মতো পরিচ্ছন্ন ও সৎ রাজনীতিবিদ দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসেনা।
অন্যদিকে ডা. জুবাইদা রহমান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ শুধু নন, তিনি এদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী বর্ণাঢ্য পরিবারের সন্তান। তার পিতা রিয়ার অ্যাডমিরাল মরহুম মাহবুব আলী খান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান এবং সাবেক মন্ত্রী। তিনি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নন। সুতরাং তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা অবান্তর এবং ভিত্তিহীন।