Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস খোলা ক্যম্পাসে বন্ধ পরিবহন সেবা, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

খোলা ক্যম্পাসে বন্ধ পরিবহন সেবা, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

23

কুবি প্রতিনিধি : শারদীয় দুর্গোৎসবের ৯ দিনের ছুটি শেষে আজ (রবিবার) খুলেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু হলেও বন্ধ রয়েছে পরিবহন সেবা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল সূত্রে জানা যায়, রবিবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পরিবহন সেবা বন্ধ থাকবে। তবে ক্লাস পরীক্ষা চলমান থাকবে। যদিও এ বিষয়ে কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি প্রশাসন।

এদিকে পরিবহন সেবা বন্ধ রেখে একাডেমিক কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা মনে করেন, এতে তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরাম জানান, ক্লাস-পরীক্ষা চালু রেখে বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আমি মোটেও সমর্থন করি না। আমার মনে হয় আমাদের অভিভাবক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত আমাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে। এককভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া অপেক্ষা একত্রে বাসে যাওয়াটাকে আমি নিরাপদ মনে করি। আশা করি ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কুবি প্রশাসন আরো সর্তক হবেন।

গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত রশীদ জানান, পরিবহন সেবা বন্ধ রেখে ক্লাস পরীক্ষা চালু রাখাটা আসলে মেনে নেয়ার মতো না। এতে শিক্ষার্থীদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু অল্প কয়েকজন স্টুডেন্ট না।অনেক স্টুডেন্ট এখানে। এতজন স্টুডেন্ট বাস ছাড়া ক্যাম্পাসে গিয়ে ক্লাস, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাটা অনেক দুর্বিষহ একটা ব্যাপার এবং এটা নিরাপদও নয় শিক্ষার্থীদের জন্য। আবার অনেক স্টুডেন্ট এর আর্থিক সমস্যা আছে। তাদের পক্ষে গাড়িভাড়া দিয়ে গিয়ে ক্লাস, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাটা কষ্টকর হয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, এতজন স্টুডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য ঠিক সময়ে অন্য গাড়ি পাবে কিনা, এটাও একটা ভোগান্তির ব্যাপার। এতে দেখা যাবে ক্লাস,পরীক্ষায় সঠিক সময়ে গিয়ে পৌঁছাতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে বাস সেবা চালু রাখা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহন সেবার প্রধান ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার জানান, এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। রেজিস্ট্রার আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা সেটি বাস্তবায়ন করছি।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি এ বিষয়ে উপাচার্যের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন।