Home জাতীয় কুয়াকাটার সানরাইজ পয়েন্টে এবার দেখা মিলেছে জালে পেঁচানো জীবিত কাছিম

কুয়াকাটার সানরাইজ পয়েন্টে এবার দেখা মিলেছে জালে পেঁচানো জীবিত কাছিম

41

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার গঙ্গামতি সৈকতের সানরাইজ পয়েন্টে এবার দেখা মিলেছে জালে পেঁচানো প্রায় ৪০ কেজি ওজনের জীবিত কাছিম। শনিবার সকাল আটটার দিকে সাগরে ভাটার টানে এটি বালুচরে আটকে পড়ে। খবর পেয়ে ব্লু-গার্ড সদস্যরা জালে পেঁচানো অবস্থায় সমুদ্রিক কাছিমটি উদ্ধার করে। এ নিয়ে দুই দিনের ব্যবধানে এ প্রজাতির দুটি কাছিম ভেসে এলো। যার একটি ছিলো মৃত।
ব্লু-গার্ড সদস্য পান্না মিয়া বলেন, মোটা সবুজ ও বড় ফাঁসের জালে কাছিমটি পেঁচানো ছিলো। এসব জাল সাধারণত গভীর সমুদ্রে ফিসিং ট্রলিতে ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘক্ষণ জালে পেঁচানো থাকায় কাছিমটির পেটের নিচের অংশ, পাখা ও পায়ে কিছুটা ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
ইউএস এইড এর অর্থায়নে পরিচালিত আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিস এর ইকোফিস-২ এর সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, এটি গ্রীণ সী টার্টেল (সামুদ্রিক সবুজ কাছিম)। এ কাছিমেরা সাধারনত ওজনে ৩০০ কেজির বেশি হয়ে থাকে। প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত জীবিত অবস্থায় থাকতে পারে। ২৫ বছর বয়স হতে প্রতি ২/৪ বছর পরপর তারা ডিম পারে। তাদের পাঁচ ফুট লম্বা মসৃন খোলস দেখতে অনেকটা অশ্রুবিন্দুর মত। সবুজ কাছিম অন্য যে কোন সামুদ্রিক কাছিমের তুলনায় অনেক বেশি সময় পানির নিচে ডুব দিয়ে থাকতে পারে। এরা সাধারনত উপকূলীয় এলাকায় বসবাস করে থাকে। উদ্ধারকৃত জীবিত কাছিমটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে। তবে গত দুদিন আগে রাবনাবাদ চ্যানেলে আরো একটি ৩৫ কেজি ওজনের একই প্রজাতির মৃত কাছিম ভেসে আসে বলে এই গবেষক জানিয়েছেন।