ডেস্ক রিপোর্ট: কুমিল্রা সিটি কর্পোরেশনে (কুসিক )-এর নবনির্বাচিত মেয়র এবং কাউন্সিলরগণের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছে আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।তিনি গণভবণ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।শেখ হাসিনা মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রাখতে এবং তাদের প্রতি যথাযখ ভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করার জন্য কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে নির্বাচনের ইতিহাসে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক)-এর নির্বাচনকে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, তাঁর সরকার জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এখনে মানুষ কেবল স্বতস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকারই প্রয়োগ করেনি নির্বাচনটাও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছে। আমি মনে করি, নির্বাচনের ইতিহাসে এটা একটা দৃষ্টান্ত।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী আরফানুল হত রিফাতকে ভার্চুয়ালি শপথ বাক্য পাঠ করান। অন্যদিকে, সংরক্ষিত আসনের নয় জন মহিলাসহ ৩৬ জন নির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান যুগ মূলত প্রযুক্তিনির্ভর এবং বেশিরভাগ দেশই তাদের নির্বাচনে প্রযুক্তি ও নির্বাচনী ভোটিং মেশিন ব্যবহার করছে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে জনগণ যেন তাদের ভোটের অধিকারটা উপভোগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে যা যা করার আওয়ামী লীগ সরকার করে যাচ্ছে। কেননা, আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকেই মানুষের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করেছে এবং দলটির প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।
তিনি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রতিস্থাপন, ছবিসহ নির্বাচনী ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং ভোটার তালিকা থেকে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারকে বাদ দিয়ে নির্বাচন ব্যাবস্থাকে স্বচ্ছ ও যুগোপযোগীকরণে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় মহাজোটের অবদানের কথার স্মরণ করেন। ’৭৫ পরবর্তী সময়ের সামরিক সরকারের অধীনে এদেশে সংঘটিত নির্বাচনের নামে প্রহসন এবং জিয়াউর রহমানের বিতর্কিত, ‘হ্যাঁ’ ‘ন’া ভোট, রাষ্ট্রপতি ও সংসদ নির্বাচনসহ খালেদা জিয়ার ২০০৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটার বিহীন নির্বাচনের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে যার সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছে জানিয়ে বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রায় ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হয় বলেও জানান সরকার প্রধান।
‘ঋণ করে ঘি খাওয়ার পলিসি’তে তাঁর সরকার বিশ্বাসী নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে তিনি এমনও দেখেছেন নিজের দেশের অর্থ অন্যের হাতে তুলে দিয়ে সেখান থেকে আবার কমিশন খেয়ে অর্থ নিয়ে আসছে। কিন্তু, এই টাকা তো জনগণের টাকা।