Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস কুবিতে সাংবাদিক বহিষ্কারের প্রতিবাদে জাবিসাসের  নিন্দা

কুবিতে সাংবাদিক বহিষ্কারের প্রতিবাদে জাবিসাসের  নিন্দা

106

বোরহান উদ্দিন রব্বানী,জাবি: সংবাদ প্রকাশের জেরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।

বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) জাবিসাস সভাপতি আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইন হিমু এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

দপ্তর সম্পাদক মো নাছির শিকদারে স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে কোন ভুল হলে তা প্রতিকারের জন্য যথোপযুক্ত আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত ছিলো। এছাড়া সংক্ষুদ্ধ পক্ষ হিসেবে উপাচার্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ জানাতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটি না করে, একজন সংবাদকর্মীর পেশা জীবনে সংঘটিত ঘটনার প্রতিক্রিয়া সংবাদকর্মীর শিক্ষা জীবনের উপর দেখিয়েছেন, যা অনৈতিক ও অগ্রহণযোগ্য। এক্ষেত্রে স্পষ্ট হয় যে, উপাচার্য তার ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন। ফলে তিনি তার পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, তথ্য—প্রমাণসমেত সংবাদ প্রকাশের পরেও একজন সাংবাদিককে শাস্তির মুখোমুখি করার ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনা ‘হীন স্বার্থে’ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে অনুসরণ করতে উৎসাহিত করবে। পাশাপাশি এই ঘটনা দেশের চলমান মতপ্রকাশের ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত করার প্রয়াসকে উস্কে দিবে। বিশ^বিদ্যালয়ে উপাচার্যের মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে এমন কর্মকান্ড কখনোই কাম্য নয়। এছাড়া অনতিবিলম্বে ওই সংবাদকর্মীর ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, গত ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন দুর্নীতি নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন। পরে তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে দৈনিক যায়যায়দিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এদিকে ২ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিস আদেশে দেখা যায়, উপাচার্যের বক্তব্যকে বিকৃত করে উদ্দেশ্য প্রণেদিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মী (শিক্ষার্থী) ইকবাল মনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে ইকবাল মনোয়ার অভিযোগ করেছেন, তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এমন শাস্তি দেওয়া হয়েছে।