Home সারাদেশ কালীগঞ্জে একটি ঘরের জন্য প্রতিবন্ধী শাকিলার আকুতি

কালীগঞ্জে একটি ঘরের জন্য প্রতিবন্ধী শাকিলার আকুতি

19

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ মুজিববর্ষে সারাদেশের ন্যায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় কয়েক ধাপে ৭৯৩টি ভুমিহীনও গৃহহীন পরিবার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। কিন্তু এ উপহারের ঘর থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সমাজ সেবা অধিদফতরের তালিকাভুক্ত শারীরিক প্রতিবন্ধী শাকিলা ইয়াসমিন।
শাকিলা ইয়াসমিন উপজেলার কাকনিা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর ৮ নং ওয়ার্ডেও দিনমজুর শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরনো একটি টিনের ঘর। জোড়াতালি দেওয়া ঘরের বেড়া, কিছুদিন হয় সেই ঘরেও আগুন লেগে পুড়ে যায় ঘরের আসবাবপত্র। জীর্ণ এ ঘরে দুই সন্তান নিয়ে বসবাস শাকিলার। সে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ও ভুমিহীন। জীবিকার তাগিদে স্বামী থাকেন ঢাকায়। স্বামীর ঢাকায় কষ্টার্জিত উপার্জনে কোনো মতে চলছে সংসার। নিজের এক শতাংশ জমি নেই। দীর্ঘদিন ধরে খাস জমিতে বসবাস তাদের। আর্থিক অভাব—অনটনে দরিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ করে মাহমুদ (১২) ও মুরছালিন(৮) নামের দুই সন্তানকে নিয়ে জীবনযাপনই যেন শাকিলার নিয়তি! শাকিলাও দেখেছিলো সরকারি ঘরের স্বপ্ন কিন্তু তালিকা তৈরীতে সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় তার সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যায়।
কান্নাজড়িত কন্ঠে শাকিলা ইয়াসমিন বলেন, সরকার যদি একটা ঘর দিতো,তাহলে সন্তানদের নিয়ে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম। এসময় তিনি জেলা প্রশাসক এবং কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি সরকারী ঘরের আকুতি জানান।
শাকিলার স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের জন্য উপাজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু কোন খবর পাইনি। কবে পাব তাও জানি না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে এ উপজেলায় ১ম ধাপে—১৫০টি,২য় ধাপে—২৫০টি,৩য় ধাপে—২২৫টি এবং ৪র্থ ধাপে—১৬৮টিসহ মোট ৭৯৩টি ঘর নির্মাণ করে গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবারের মাঝে চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা নতুন ঘরে বসবাস শুরু করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম বলেন, প্রকৃত ভূমিহীন হলে আবেদনের প্রেক্ষিতে যাছাই বাছাই করে ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।