Home কৃষি কলারোয়ায় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে সবজি চাষে কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন

কলারোয়ায় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে সবজি চাষে কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন

40

জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রদর্শনীর কর্মসূচীর আওতায় উপকারভোগী কৃষকদের সাফল্যগাঁথা রয়েছে কৃষকের মাঠ জুঁড়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সঠিক পরামর্শে সফলতার দিক খুঁজে পেয়েছেন কৃষকরা। বসতবাড়ির আঙ্গিনায় কৃষি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি বাগান প্রদর্শনী কৃষকের সাফল্য গাঁথা নিরাপদ শাক সবজি ও ফসল আবাদ করে নিজের ভাগ্য বদল করেছেন কলারোয়া উপজেলার সাধারণ কৃষক-কৃষাণী। নিরাপদ শাক সবজি উৎপাদন করে কলারোয়ার কৃষকরা রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য ইচ্ছা পোষণ করেন উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের শত শত কৃষক ও কৃষাণী। বর্তমানে কৃষির প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের অদম্য আগ্রহ দেখে উপজেলা কৃষি অফিসারের তত্তবাবধানে ৭০ শতাংশ জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফল এবং সবজি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ কর্মসূচির আওতায় বসতবাড়ির আঙ্গিনায় কৃষি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে সবজি বাগান এর প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুল হোসেনের সঠিক দিক নির্দেশনার মাধ্যমে উপজেলায় ৬হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে সরিসা চাষ, ৩২শ বিঘা জমিতে উপসি ধান চাষ, ৩৫০বিঘা জমিতে গম চাষ, ৭০বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ, ২৫০বিঘা জমিতে সূর্যমূখী চাষ হচ্ছে। সর্বমোট ১২হাজার ৫০০শ হেক্টর জমিতে চাষ শুরু হয়েছে। সরকার কৃষি প্রণোদনায় সার-বীজ ফ্রিতে দিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুল হোসেনের দেয়া পরামর্শে কৃষকের জমিতে লাল শাক, ডাটা ফসলসহ অন্যান্য ফসল আবাদ শুরু হয়েছে। অনেকে নিরাপদ সবজি চাষাবাদ করে এবং লাভবান হয়ে অনেক খুশি। নিরাপদ ফসল আবাদ করে এবং জৈব সার, জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করলে মাটির গুণাগুন ভাল থাকে, পরিবেশ নির্মল থাকে এবং সেই সাথে নিরাপদ সবজি খেলে রোগমুক্ত ও সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব হয়। যুগিখালী ইউনিয়নের কামারালী গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন, রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে জৈবসার তৈরি ও তার ব্যবহার বিধি শিখেছি। রোগ-বালাই হলে কোন সময় কোন ওষুধ দিতে হবে সেই পরামর্শ নিয়েছি। আগে কৃষি সম্পর্কে পরামর্শ নিতে হলে শহরে যেতে হতো। এখন কৃষকদের বাড়িতেই ছুটে আসছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা। এমন হলে আমাদের উপজেলায় কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুল হোসেন বলেন, কলারোয়া মাটিতে সব ধরনের ফসল উৎপাদন হয়। এজন্য কৃষি নিয়ে কৃষকদের সবসময়ইব পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সাধ্যমত কৃষকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। কারণ একজন প্রকৃত কৃষক এদেশের বড় সম্পদ তারা তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে সবজি চাষ করে দেশকে আরো এগিয়ে নিতে পারবে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।