Home সারাদেশ কলারোয়ার কুশোডাঙ্গায় ৭০সালে নির্মিত ইউনিয়ন পরিষদ ।। যে কোন সময় ছাদ ধসে...

কলারোয়ার কুশোডাঙ্গায় ৭০সালে নির্মিত ইউনিয়ন পরিষদ ।। যে কোন সময় ছাদ ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা

26

জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ৭০সালে নির্মিত কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে জীবনের ঝুকি নিয়ে অফিসিয়াল কাজকর্ম করছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিব। দেশ স্বাধীন হয়েছে। হয়েছে দেশেরউন্নয়ন, কিন্তু পরিবর্তন হয়নি এই কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ। সেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কাজকর্ম করতে হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ আলী গাজী ও ইউপি সচিব আনিছুর রহমানকে। রোববার (২০নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে ঘরে দেখা গেছে-উপজেলার ১০নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্মিত হয় সেই১৯৭০সালে। ওই সময় ইউপি চেয়ারম্যানে দায়িত্ব পালন করেন-সাছুদ্দীন আহম্মেদ।
তিনি ১৭ডিসেম্বর ১৯৭১সাল থেকে ১৩মার্চ ১৯৭৪সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এর পরে আব্দুল আজিজ সরদার ১৪মার্চ থেকে ২১মার্চ ১৯৭৭সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এর পর থেকে ওই পরিষদে ১৬জন চেয়ারম্যান বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করলেও হয়নি নতুন কোন ইউনিয়ন পরিষদ ভবণ। সর্বশেষ সাঈদ আলী গাজী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও তিনি ওই ভবনে বসে তার ইউনিয়ন পরিষদেরকার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন। তিনি ভয় পাচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদে বসতে। যে কোন সময় জরাজীর্ণ ভবন ধসে পড়তে পারে। তিনি বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্বে একটি ঘরে বসে পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তিনি
জানান-গত সপ্তাহে ইউনিয়ন পরিষদ চলাকালে ইউপি সচিব আনিছুর রহমান জন্ম নিবন্ধন এর জন্য ইউনিয়নের কয়েকজন নারী ও পুরুষ নিয়ে ওই ভবনে বসে কাজ করছিলেন। এসময় হঠাৎ করে ইউনিয়ন পরিষদের দুইতালা ভবনের ছাদ থেকে বিকট শব্দে সিমেন্ট খসে পড়ে। সবাই ভয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ছেড়ে রাস্তায় চলে আসে।
এনিয়ে এর আগে উপজেলা মাসিক মিটিং এ তিনি অভিযোগ করেছেন। এমনকি ওই ভবন ভেঙ্গে ফেলে নতুন ভবন নির্মান ও ভবন থেকে সকল মালামাল সরিয়ে নিতে লিখিত ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু উপজেলানির্বাহী অফিস থেকে এখন পর্যন্ত তিনি কোন চিঠির জবাব পাননি। এদিকে ইউপি সচিব আনিছুর রহমান বলেন-চেয়ারম্যান সাহেব ভবণ ছেড়ে পাশের ঘরে বসে পরিষদ চালাচ্ছেন। আর তিনি নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে ওই ভবনে বসে ইউনিয়ন পরিষদ এরকাছ করে যাচ্ছেন। যে কোন সময়ে ভবণ ধসে পড়তে পারে বলে তিনি আশংকা করছেন।
তিনি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকে সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।