Home সারাদেশ কলারোয়ার সম্মানহানীর প্রতিবাদে চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

কলারোয়ার সম্মানহানীর প্রতিবাদে চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

42

কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডালিম হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ভাতার কার্ডের বিষয়ে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় তার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১২এপ্রিল) বিকেলে চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন বলেন-আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ পরিবেশন করেছে আমি তার তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন-সংবাদে পরিষদের বিভিন্ন ভাতার কার্ডের বিষয়ে যে অনিয়ম তুলে ধরেছে তা ভিত্তিহীন। বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, গর্ভকালীনভাতা এগুলো সরাসরি (জি টু পে) অথ্যাৎ সরাসরি গ্রাহকের মোবাইলে প্রেরিত হয় । যা গ্রাহক তার নিজস্ব পিন নাম্বার দিয়ে টাকা উত্তোলন করে। এখানে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা ইউপি সদস্যর কোন হস্তক্ষেপ থাকে না। আমার ইউনিয়নের ৯৩৮জন টিসিবি কার্ডধারী ব্যাক্তি টিসিবি পন্য প্যাকেজ অনুযায়ী সরকারি নির্ধারিত মূল্যে ডিলারের কাছ থেকে ক্রয় করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি একজন ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে। আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাক্তিদের যে তালিকায় সরকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছিলেন সেই তালিকায় অন্তর্ভূক্তরায় টিসিবির কার্ডধারী। আমার ইউনিয়নে ১৩২৫জন ব্যাক্তি ১৫টাকা কেজি দরের চাউলের কার্ডধারী সুবিধা ভোগ করে। তাহারা প্রতিমাসে ডিলারের মাধ্যমে তাদের চাউল উত্তোলন করেন। এখানে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা ইউপি সদস্যর কোন হস্তক্ষেপ থাকে না। উক্ত ১৫টাকা কেজি দরের চাউলের কার্ডের তালিকা সরকারের বিধি ও নির্দেশনা অনুযায়ী যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ৩০৭জন উপকারভোগীর মধ্যে ১০৫জন জন ব্যাক্তি পরিষদে এসে সঠিক সময়ে অনলাইন করতে না পারার কারণে তাহাদের কার্ড বাতিল হলে সেই সমস্থ ব্যাক্তির নাম পুনরায় অন্তর্ভূক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এবং ৭০জন ব্যক্তি মৃত এবং তাহাদের স্ত্রীদের নামে ভিজিডি কার্ড থাকার কারনে তাহাদের নাম বাতিল করা হয়েছে। ইহা ছাড়া ৪৩জন ব্যক্তির নামে একাধিক কার্ড থাকার কারনে তাহাদের নাম বাতিল করা হয়েছে। ৩৫জন ব্যাক্তি আর্থিক ভাবে সচ্ছল হওয়ায় অনলাইন না করলে এবং কার্ড নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তাহাদের নাম অফিস থেকে বাতিল করা হয়েছে। ১৯জন ব্যক্তির বেনামি কার্ড (যে গুলো সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম নিজে উত্তোলন করতেন) এবং ৩৩জন ব্যক্তি আর্থিক ভাবে সচ্ছল ও প্রবাসী হওয়ায় সেই সকল ব্যক্তিদের কার্ড বাতিল করে অসচ্ছল ব্যাক্তিদের প্রদান করা হয় যাহার তালিকা অফিসে এবং ডিলারের কাছে রয়েছে। উক্ত সংবাদে প্রকাশ করা হয় যে ৮৬৯ নং কার্ড নাকি আমার বাবার নামে অন্তর্ভূক্ত কিন্তু উক্ত কার্ডের নং এ সুবিধাভোগীর নাম মোছাঃ রিজিয়া খাতুন, পিতা-ফকির আহম্মেদ সাং-রামভদ্রপুর। আমার ইউনিয়নে ২৭৪জন মহিলা ভিজিডি কার্ডধারী সুবিধা ভোগ করে। তাহারা ফাষ্ট সিকিউরিটি ব্যাংক কলারোয়া শাখায় তাহাদের নিজেদের নামে এক্যাউন্ট খুলে এবং প্রতি মাসে চাউল গ্রহন করার সময় ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে টাকা জমা দিয়ে ¯িøপ বুঝে নেয়। টি আর,কাবিটা, কাবিখা, এডিবি, এলজিএসপি, পিইসি ও বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা মাসিক মিটিং দিয়ে মেম্বারদেরকে নিয়ে সমন্বয় করে রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহন করা হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেমন, কেসিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৫হাজার, মদনপুর দাখিল মাদ্রাসায় ৫০হাজার, বিক্রমপুর দক্ষিনপাড়া মসজিদে ৫০হাজার, কাদপুর পশ্চিমপাড়া মসজিদে ৫০হাজার, হিজলদী পশ্চিমপাড়া মসজিদে ৫০হাজার, চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজে ৫০হাজার, টি আর এর টাকায় চান্দুড়ীয়া গ্রামে ইটের সোলিং রাস্তা করা হয়। এছাড়া চলতি বছরের কাবিটার কাজ অভিযোগকারী ইউপি সদস্য আঃ লতিফ নিজে করেছেন এবং নিজেই প্রকল্পের সভাপতি। অভিযোগকারী ইউপি সদস্য হুমায়ন কবির তিনিও গতবছরের কাবিটার কাজ নিজে করেছের এবং উক্ত প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া ও অন্যান ইউপি সদস্যরা বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নিজে করেছের এবং উক্ত প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন। প্রত্যেকটা প্রকল্পের রেজুলেশন ইউনিয়ন পরিষদে আছে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পওয়ার পর থেকে অদ্যবধি প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের ছবি এবং রেজুলেশন আছে এবং প্রতি মাসের মাসিক মিটিং প্রতি মাসেই করা হয় যাহার ছবি এবং রেজুলেশন রয়েছে। এবং অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা বলেছেন প্রকল্প দেওয়ার জন্য তাহাদের নিকট হতে অর্থ নেওয়া হয়েছে যাহা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ইউএনও মহোদয় ও পিআইও অফিসার প্রত্যেকটা কাজ পরিদর্শন করেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন। জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারেশ এর সনদের সরকার নির্ধারিত ফি সরাসরি ব্যাংকে জমা হয় । কোন অতিরিক্ত ফি গ্রহন করা হয়না। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যরা বিনামূলে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং সেটা না দেওয়ার কারনে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা বলেছেন তাদের সই নাকি নকল করা হয় এবং সাদা খাতায় সই করে নেওয়া হয় কিন্তু সরজমিনে দেখা যাই কোন রেজুলেশনে তাদের সই নকল করা হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সের টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হয় এবং চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে উক্ত টাকা পরিষদের বিদ্যুৎ বিল সহ আনুষাঙ্গিক কাজে ব্যায় করা হয় যাহার ব্যায় ভাউচার পরিষদে রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের উত্তোলনকৃত ট্রাক্স এর টাকা হতে ইউপি সদস্যদের সম্মানিভাতা প্রদান করা হয়। উত্তোলনকারীদের কমিশন দেওয়া হয় এবং বাকিটাকা উন্নয়ন মূলক কাজে ব্যয় করা হয়। রাস্তার দুই ধারের আম গাছ গুলো সাবেক চেয়ারম্যান হাসান আজিজ আহম্মেদের হাতে লাগানো। কেয়ারটেকার হিসেবে ৫০% অংশীদার মৃত আশরাফ হোসেন সচিব ও কাশেম আলীকে স্টাম্পের মাধ্যমে চুক্তি করেন এবং ৩০% চাষীরা ও ২০% ইউনিয়ন পরিষদ পাইবে । সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির সময়ে তিনি কাউকে কোন টাকা দিতেন না । টাকা চাওয়ার জন্য তিনি হিজলদী গ্রামের আহাদ ও সাবেক মেম্বর নজরুল ইসলামকে মারধর করেন। যেটা তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। এবং তিনি রাস্তার দুই ধারের গাছ নিজে লাগিয়েছেন বলে দাবী করেন। যেটা সম্পূর্ন মিথ্যা । হিজলদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে আমি নাই সেখানে ত্রিশ লক্ষ টাকা নিয়োগ বানিজ্য করা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন, চন্দনপুর দাখিল মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটিতে আমি সদস্য মাত্র। অধ্যাপক আবু নসর সাহেব সভাপতি সরকারি বিধি অনুযায়ী ফ্রি এন্ড ফেয়ার নিয়োগ দেওয়া হয়। চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোটের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়। সরকারি বিধি অনুযায়ী নিয়োগ প্রদানের সময় অভিযোগের ভিত্তিতে ইউএনও মহোদয় নিয়োগ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে পুনরায় ফ্রি এন্ড ফেয়ার নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করা হয়। কিন্ত বিগত দিনে গাজী রবিউল ইসলাম পকেট কমিটির মাধ্যমে চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয় ও সদস্য মফিজুল ইসলাম। তারা হেডমাষ্টার সহ পাঁচটি পদে নিয়োগ প্রদান করে। যেখানে ৭৫লক্ষ টাকা নিয়োগ বানিজ্য হয়। এবং তৎকালীন সময় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২১দিন প্রতিষ্ঠানটি তালা বদ্ধ করে রাখে। তৎকালিন সময়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে ও আদালতে একটি মামলা হয় যেটা এখনও চলমান। পরবর্তীতে প্রশাসনের সহযোগিতায় উক্ত প্রতিষ্ঠান আবার চালু হয়। চন্দনপুর দাখিল মাদ্রাসায় বিগত দিনে সভাপতি ছিলেন মনিরুল ইসলাম মনি। তিনি আট লক্ষ টাকার বিনিময়ে গার্ড নিয়োগ দেন বিক্রমপুরের পল্টুকে। এবং পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে তার ইট এবং টিন গুলো নিজের কাজে ব্যবহার করেন। নতুন বিল্ডিং করে দেবেন বলে প্রতিশ্রæতি দিয়েও করে দেননি। অভিযোগকারীরা বলেছেন যে দুই কোটি টাকার বিল্ডিং যেটা সঠিক নয়। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে সতের মাস দায়িত্ব পালন করছি। এই সময়ের সরকারের বিশ লক্ষ টাকার কাজও আমি করি নাই। তাহলে দুই কোটি টাকার সরকারি সম্পদ কিভাবে তছরূপ করলাম এটা আমার প্রশ্ন।