Home সাহিত্য ও বিনোদন কবি রুদ্র কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের অধিকারের কথা লিখেছেন: পিআইবি মহাপরিচালক

কবি রুদ্র কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের অধিকারের কথা লিখেছেন: পিআইবি মহাপরিচালক

521

মোংলা থেকে মোঃ নূর আলমঃ কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের অধিকারের কথা লিখেছেন। রুদ্র শ্রমজীবি মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন। শ্রমিক শোষনের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন। মেহনতি মানুষের পক্ষে দাড়াতে গিয়ে রুদ্র বিত্তবান ও অভিজাত শ্রেণীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। পচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে রুদ্র’র কলম সোচ্চার ছিলো। রুদ্র কবিতার জন্য যেরকম শ্রম এবং সময় দিয়েছেন এরকম আমরা কেউ দেয়নি। ১৬ অক্টোবর সোমবার সকালে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ৬৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রুদ্র স্মৃতি সংসদ আয়োজিত মোংলার মিঠেখালি গ্রামে রুদ্র স্কুল চত্বরের আলোচনা সভায় রুদ্র’র ঘনিষ্ট বন্ধু পিআইবির মহাপরিচালক কবি জাফর ওয়াজেদ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
সোমবার সকাল ১০টায় স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন রুদ্র স্মৃতি সংসদের উপদেষ্টামন্ডলীর সভাপতি মাহামুদ হাসান ছোটমনি। সভায় আরো আলোচনা করেন মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশ, মোংলা-রামপাল সার্কেলের জৈষ্ঠ্য সহকারি পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার, উন্নয়ন সংস্থা আমাদের গ্রাম’র পরিচালক রুদ্রের বন্ধু রেজা সেলিম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূর আলম শেখ, রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি রুদ্র অনুজ সুমেল সারাফাত, মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল প্রমূখ। সভায় বক্তারা আরো বলেন, রুদ্র ছিলেন তারুন্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক। সমাজের সকল বৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরেছেন। দেশ ও জাতির সংকটে রুদ্রের কবিতা হয়ে উঠেছে তারুণ্যের হাতিয়ার। বুদ্ধিবৃত্তিক আপোষকামিতায় দেশ যখন আকন্ঠ নিমজ্জিত, সত্য যখন নির্বাসনে এই রকম অস্থির সময়ে রুদ্রকে আমাদের নিজেদের জন্যে, দেশের জন্যে খুব প্রয়োজন ছিল। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন রুদ্র তাঁর কবিতা, গান নিয়ে বেঁচে থাকবেন। আলোচনা সভা ছাড়াও শ্রদ্ধা, গান, আর কবিতা কবির গ্রামের বাড়ী মোংলার মিঠাখালীতে তারুণ্যের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ৬৭তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সকাল ৯টায় রুদ্র স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সংসদ চত্বর থেকে শোভাযাত্রা সহকারে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর রুদ্রে বাড়িতে দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং মিষ্টি বিতরণ করা হয়। আলোচনা শেষে রুদ্রের কবিতা আবৃত্তি করেন সুমেল সারাফাত। সংগীত পরিবশেন করেন রুদ্রের গড়া সংগঠন অন্তর বাজাও। বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৮টা পর্যন্ত উন্নয়ন সংস্থা আমাদের গ্রাম ক্যান্সার কেয়ার ইনষ্টিটিউট বিনামূল্যে স্থানীয় গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে। প্রায় দুই শতাধিক নারী ও পুরুষ এ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেন।