Home সাহিত্য ও বিনোদন কবি অনিমেষ চন্দন -এর তিনটি কবিতা

কবি অনিমেষ চন্দন -এর তিনটি কবিতা

153

১. তোমরা বলো শরতের কাশফুল

বাতাসের শান দেওয়া আলো
ভেসে যাওয়া দুপুরের রোদ
আমি তার কিছুই দেখিনি
কিচ্ছু বুঝিনি –!

একমুঠো খাবারের ঘ্রাণ
মাথা ও মনের জমিন জুড়ে
মাথা কুটে মরে; গ্রামের গলি অন্ধকারে

এখানে আকাশ নেই, মেঘ নেই
নীল সাদা পুরনো শূন্য থালায়
হাঁ করে চেয়ে আছে কেউ —

হায় আশ্বীন! কৃষকের কাছে
তুমি এক মূর্তিমান ক্ষুধা
পঞ্চাশের মন্বন্তরের মত
বিষাদের সুর ভূমিপুত্রের

আর ওইসব ধাংকুড়াকুড়
ঢাকের বাদ্যি ; সবই তো জানো—
“বড়লোকের ঢাক তৈরি গরিব লোকের চামড়ায়” তাইতো বড়ই বাজে বুকে, পিঠে—

ইদানিং ভীষণ মাথা ঘোরে, ধোঁয়া ধোঁয়া দেখি–
তোমরা বলো শরতের কাশফুল
আমি ওসব কিছুই দেখি না, কিচ্ছু দেখি না!

২. সময়- এর ফিরে আসা

ইদানিং দিন বড় দেরি করে ফেরে
ঘরে আসে কিনা কেউ তা বলতে পারেনা
সময় আসে আর যায় বাধ্য শ্রমিকের মতো
তা নিয়ে কারো কোন উৎকণ্ঠা নেই
অথচ বিছানা বালিশ শুয়ে আছে
অনন্তকাল ঘুমায় কি —!

ঘুমালে মন ভালো হয় কয় প্রবচনে।
ঘরবাড়ি কি করে খোঁজ নেয় ক’জনে
আসলে মদ ও মাতাল পরিপূরক খোঁজে
চোখ, কান বুজে বুঁদ হয়ে থাকে
মনের মধ্যে ওরা লুকোচুরি লুকিয়ে রাখে
যেমন রাধা কি লুকায় কারা কতটুকু দ্যাখে
কেউ তো প্রকাশ করে না, প্রকাশই পাপ
অপরাধ, অনুশোচনা, কেন দেখলাম
কেন শুনলাম আলো ও বাতাসের কাছে !

তাইতো দিন বড় দেরি করে ফেরে
আঁধারের মধ্য দিয়ে মাতালের মত
সমস্ত শরীর নিয়ে দোদুল্যমান হয়ে
মাথা ও মন তখন কি লুকায়
কাকের মত– না সে জানে না সবাই দ্যাখে
লীলা না লেহন সময় তা কাউকে বলে না।

৩. জীবনের চলমান রথ

পথেরা পথেই থাকে বলে
তোমার সাথে
পথেই দেখা মেলে

তুমি আমি কে কার পরিচিত
কি দেখে বা চেনো আমায়
জীবিত না মৃতঃ

অল্প দূরে থাকতে তোমায় বলি
ইচ্ছে হলে দেখতে যেন পাই
সে সব বুঝে সরে থাকো তাই
ইচ্ছে করে অপলকে বলো এবার চলি!