Home সারাদেশ এমপির নির্দেশে ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষন প্রচার

এমপির নির্দেশে ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষন প্রচার

22

স্টাফ রিপোটার: ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ক্লাবে কাজী মনিরুল ইসলাম মনু’র নির্দেশে ভোর থেকেই প্রচারিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর কালজয়ি ভাষণ। মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিম খানায় ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ঘাতকদের হাতে নিমর্মভাবে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে ঢাকা-৫ আসনের এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু’র নির্দেশনায় আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের ৩২টি ক্লাবে মাইকে ঐতিহাসিক ভাষন প্রচার করা হচ্ছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক ভাষণটি ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকায় ভোর থেকে ৩২টি আওয়ামী লীগ-যুবলীগের ক্লাবগুলো প্রচার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় মান্নান স্কুল এণ্ড কলেজে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী ৭ মার্চের ভাষণটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের জন্য বাঙালি জাতির শপথ। ওই দিন ভাষণটি শোনার পর গোটা জাতি শপথ নেয় এবং দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতির জন্য একটি শপথ ছিল। তিনি বলেন, ওই দিন বাঙালি শপথ নেয় এবং ২৬ মার্চ ভোরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন তার ভাষণে বলেছিলেন, প্রতিটি ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো, যার যা কিছু আছে, তা নিয়েই শক্রর মোকাবিলা করতে হবে। রাস্তাঘাট যা যা আছে…. আমি যদি তোমাদের হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা সব বন্ধ করে দিবে। ওই দিন সাড়ে ৭ কোটি বাঙ্গালী এই ভাষণ শুনে মুক্তিযুদ্ধের জন্য শপথ গ্রহণ করেন।
কাজী মনিরুল ইসলাম মনু বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের পরতে পরতে মিশে আছে জাতির পিতার অসামান্য অবদান। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জনের এই দীর্ঘ বন্ধুর পথে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক দিকনির্দেশনা জাতিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। তিনি বলেন, সমৃদ্ধ জাতি সমৃদ্ধ দেশ গড়ার এক স্বপ্ন জাগিয়ে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চে ঐতিহাসিক কাব্যিক ভাষণ দিয়েছিলেন। বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বীজমন্ত্র দিয়ে গেছেন, তা ধারণ করে এগিয়ে চলার অঙ্গীকারে বাঙালি আবার একাট্টা হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।