ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের সংক্রমণ রোধে টিকার আলাদা বুস্টার ডোজের প্রয়োজন নেই বলে মনে করছেন আমেরিকার একদল গবেষক। সম্প্রতি বানরের ওপর করা পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এ কথা জানিয়েছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের (এনআইএআইডি) সেলুলার ইমিউনোলজি বিভাগের কয়েকজন গবেষক এ পরীক্ষা পরিচালনা করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ টিকা ও বুস্টার ডোজ বানরের দেহে একই কাজ করছে।

ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে টিকা প্রস্তুতকারকরা যখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন, তখনই এ তথ্য জানাল এনআইএআইডি।

খবরে বলা হয়েছে, গবেষণা চালাতে বানরের শরীরে মডার্নার দুই ডোজ কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা প্রয়োগ করেন তারা। এর ঠিক নয় মাস পর ওমিক্রন ধরনকে লক্ষ্য করে মডার্নার বুস্টার ডোজ দেয়া হয়। এরপর প্রাণীদের ভাইরাসের সংস্পর্শে নিয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতার বিভিন্ন দিক পরীক্ষা করা হয়।

গবেষণায় তারা দেখতে পান, বানরের শরীরে মডার্নার তৈরি বুস্টার ডোজ দেয়ার পর যে ধরনের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা (ইমিউনিটি) দেখা যায়, করোনার প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার পরও একই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়।

সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে, প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ টিকা যে ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে, বুস্টারও একই প্রক্রিয়ায় কাজ করে। যে কারণে আলাদা করে বুস্টার ডোজ নেয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন এনআইএআইডির প্রধান গবেষক রবার্ট সেডার।

সেডার বলেন, ওমিক্রনের জন্য কোনো আলাদা টিকার প্রয়োজন নেই। এর থেকে পরিবর্তিত হয়ে নতুন কোনো মারাত্মক ধরন তৈরি হলে তখন টিকায় পরিবর্তন আনতে হবে।

এনআইএআইডির ভ্যাকসিন গবেষক ড্যানিয়েল ডুয়েকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গবেষণায় উঠে আসা তথ্য নিয়ে তারা আশাবাদী। সাধারণ টিকা আর বুস্টার ডোজ যদি একই কাজ করে থাকে, তাহলে শুধু ওমিক্রনের টিকা বানাতে নতুন করে ডিজাইন করার দরকার নেই বলে মনে করেন তিনি।

মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজির অধ্যাপক জন মুর অবশ্য বলেছেন অন্য কথা। প্রাণিকুলের ওপর টিকার ব্যাপ্তি পরীক্ষার ব্যাপারে তিনি ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু টিকার প্রতিরোধ ক্ষমতা পরিমাপে মানবদেহেও পরীক্ষার ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানান তিনি।

মুর বলেন, বানরের ওপর করা পরীক্ষায় পাওয়া তথ্য সাধারণত ভবিষ্যদ্বাণীমূলক। তবে মানুষের ওপর পরীক্ষার তথ্য গুরুত্বপূর্ণ। সেটার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।-আমাদের সময়.কম