Home জাতীয় উজিরপুরে কূ-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গৃহবধুকে পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম

উজিরপুরে কূ-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গৃহবধুকে পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম

38

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে কূ-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গৃহবধুকে পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ৩১ আগষ্ট উজিরপুর মডেল থানায় ভূক্তভোগী গৃহবধু বাদী হয়ে ওটরা ইউনিয়নের মশাং গ্রামের অভিযুক্ত জসিম মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ও আহত সুত্রে জানা যায় উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের মশাং গ্রামের মৃত মজিদ মোল্লার ছেলে লম্পট জসিম মোল্লা(২৮) একই গ্রামের ২ সন্তানের জননীকে তার স্বামী চাকুরির সুবাদে ঢাকায় থাকায় সুযোগে তাকে ২ বছর ধরে উত্যক্ত করে আসছিল। এমনকী কূ-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার হুমকী দেয়। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিকবার শালিশ ˆবঠক হয়েছিল। তারপরেও ওই লম্পট ক্ষ্যন্ত হয়নি। ধর্ষণের হুমকী অব্যাহত রেখেছে জসিম। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ আগষ্ট সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে লম্পট জসিম মোল্লা পূনরায় ওই গৃহবধুকে বসত ঘরে ঢুকে কূ-প্রস্তাব দেয়। এনিয়ে কথার কাটাকাটি শুরু হলে। জসিম বেপরোয়া হয়ে গৃহবধুকে কাঠের লাঠি দিয়ে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করে। এতে গৃবধুর ঠোট ও শরীরের বিভিনś স্থানে আঘাত প্রাপ্ত হয়। এদিকে স্থানীয়রা আহত গৃহবধুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উজিরপুর হাসপাতালে নেয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে জসিম। কোন উপায়ন্তু না পেয়ে অটো বাইক চালক গাড়ি পিছনে ঘুরাইয়া আসিয়া অণ্য পথ দিয়ে আহতকে গৌরনদী হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভূক্তভোগী জানান আমাকে প্রায় কূ-প্রস্তাব দেয় নারীলোভী লম্পট জসিম মোল্লা। তাতে রাজী না হওয়ায় আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করবে বলে হুমকী দিয়ে আসছে। এমনকী তার কূ-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বসত ঘরে ঢুকে আমাকে কাঠের লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে এবং আমার কাপর চোপর টানা হেচঁরা করে শ্লীলতার হানি ঘটায়। অপর দিকে জসিমের মাতা বকুল বেগম(৫৫) উল্টো আমার উপর চড়াও হয়ে জসিমের হাতে ধারালো দা দিয়ে আমাকে কুপিয়ে হত্যা করতে বলেন। এসময় আমার ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল আসার টের পেয়ে ওই লম্পট পরবর্তীতিতে আমার ইľত হনন করবে বলে এবং প্রানে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে চলে যায়। অভিযুক্ত জসিম বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ জানান প্রতিটি অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থল চৌকস পুলিশ অফিসার পাঠিয়ে প্রকৃত সত্য ঘটনা উৎঘাটন করেই যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।