Home কুটনৈতিক ও প্রবাস ইস্তাম্বুলে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালিত

ইস্তাম্বুলে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালিত

22

ইস্তাম্বুল প্রতিনিধি: ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩’ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্‍যের সাথে উদযাপন করেছে। কনস্যুলেটে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। কনস্যুলেটের ‘কনফারেন্স হল’-এ ইস্তাম্বুলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী বৃন্দের এবং তুরস্কের মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণের অংশগ্রহণে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। এরপর, দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সার্বভৌম বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। শিশুরা যেন সৃজনশীল, মননশীল এবং মুক্ত মনের মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে, সেজন্য বঙ্গবন্ধু অনেক প্রাসঙ্গিক এবং দূরদর্শী কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন বলে কনসাল জেনারেল উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধু শিশুর শিক্ষার বিষয়ে খুবই সচেতন ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছিলেন এবং ১৯৭৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের মাধ্যমে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করেন। বঙ্গবন্ধুর শিশুদের প্রতি অগাধ স্নেহের বর্ণনা দিতে গিয়ে কনসাল জেনারেল বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে নির্বাহী আদেশ জারির মাধ্যমে যুদ্ধশিশুদের বিশ্বের নানা দেশে দত্তকের ব্যবস্থা করেন। আজকের শিশুরাই ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ এবং বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রধান শক্তি বলে কনসাল জেনারেল মন্তব্য করেন। তিনি উপস্থিত শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও কর্ম সম্বন্ধে জানার জন্য অসামাপ্ত আত্মজীবনী পড়তে উৎসাহিত করেন।

উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিগণ আলোচনায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। আলোচকবৃন্দ আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর অনন্যসাধারণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। উপস্থিত সকলেই দেশের উন্নয়নে স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। বিশিষ্ট তুর্কি সাংবাদিক জনাব আহমেদ জোস্কুনাইদিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দর্শন ও চিন্তাভাবনা এখনো প্রাসঙ্গিক। তিনি বঙ্গবং বলে মন্তব্য করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে একজন ‘বিশ্ব নেতা’ হিসেবে মন্তব্য করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে শিশু-কিশোরদের জন্য বাংলাদেশের পতাকা, মানচিত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর উপর বিশেষ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কনসাল জেনারেল অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং উৎফুল্ল শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন।