ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জুনিয়র শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় দিয়ে কানের পর্দা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে সিনিয়র শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) এর ক্ষতিপূরণ ও সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর এক লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত মিনহাজুল হক রুমন লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। ভুক্তভোগী এনামুল হক ইমন আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
লিখিত অভিযোগে ভূক্তভোগী জানান, গত ১৮ নভেম্বর রাত আনুমানিক ৭টায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জিয়া মোড় এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন ইমন। এ সময় ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের বদরুল আমিন পিয়াস মোটরসাইকেল থামাতে বলে। তার সাথে কথা বলে চলে যাওয়ার সময় রুমন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কয়েকজন সহযোগী নিয়ে পেছন থেকে দৌঁড়ে এসে ইমনের ওপর হামলা করে।
তিনি আরো জানান, রুমন আমাকে মারধর করলে আমার বাম কানে প্রচণ্ড আঘাত লাগে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরবর্তীতে কুষ্টিয়ার নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞকে দেখালে তিনি কানের পর্দা ফেটে গেছে বলে জানান। একইসাথে অপারেশন না করালে কখনো ঠিক হবে না বলে জানান। আমি অভিযুক্তকে আইনের আওতায় এনে বিচার ও আমার অপারেশনের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিনহাজুল হক রুমন বলেন, ওই ছেলে জিয়া মোড়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাইক চালাচ্ছিল। তখন পিয়াস তাকে ডেকে নিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাইক না চালানোর জন্য ভালোভাবে বুঝিয়ে বলে। বলার পরই সে বাইক নিয়ে গিয়ে আবারো আরেকজনকে লাগিয়ে দেয়। এ সময় সবাই রেগে গিয়ে তার সাথে রাগারাগি করেছে সবাই। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি আরাফাত ভাই বিষয়টি মীমাংসা করেছিল। এছাড়া তার কান ফাটানোর কথা অসত্য। সে বিষয়টিকে ইস্যু বানানোর জন্য এসব বলতেছে।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হেসেন আজাদ বলেন, আমরা অভিযোগপত্র জমা পেয়েছি। এর সত্যতা যাচাই করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।