ডেস্ক রিপোর্ট: যুদ্ধের দেশ থেকে বাড়ি ফিরেছে মেয়ে। তাকে কাছে পেয়ে কান্না চেপে রাখতে পারেননি বাবা। আদরের সন্তানকে বুকে টেনে হাউ মাউ করে কেঁদে ওঠেন তিনি। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। সেখানে তৈরি হয় চরম আবেগঘন মুহূর্ত।

জানা গেছে, ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারীর মেয়ে ঈশিতা রহমান। ২০১৯ সালে ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে যান তিনি। দেশটিতে যুদ্ধপরিস্থিতি যতই গুরুতর হচ্ছিল, ততই চিন্তা বাড়ছিল ঈশিতার পরিবারের। অবশেষে রোববার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় এলাহাবাদ গ্রামপঞ্চায়েতের পাঠানপাড়ার বাড়িতে ফিরেছে ঈশিতা, স্বস্তি পরিবারের।

ঈশিতা বলেন, ‘খুব ভয়ে দিন কাটছিল। আমরা বেসমেন্টে লুকিয়ে থাকতাম। কী করবো বুঝতে পারছিলাম না। বাইরে অহরহ বোমাবর্ষণ। সবসময় বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেতাম। দিনরাত সাইরেন বাজছে। ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতি। বলে বোঝাতে পারব না কী অবস্থা হয়েছিল। জীবন নিয়ে সংশয় ছিল। ফিরব কি না কিছুই জানতাম না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কিয়েভে ছিলাম। কিছু বন্ধু ছিল খারকিভে। এই দুই জায়গায় এখন সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। দূতাবাস থেকে আমাদের বলা হয়েছিল, কোনওভাবে সীমান্ত যেন আমরা পার করে আসি। কিন্তু সীমান্ত পার করাই খুব কঠিন ছিল। তারপর অবশ্য ভারতীয় দূতাবাস থেকে সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা খুব ভালোই তদারকি করেছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন ঈশিতা। অসুস্থ থাকায় জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষাতে বংশীহারী রসিদপুর হাসপাতালের বেডে বসে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ই ঈশিতা ঠিক করেন, বড় হয়ে তিনি চিকিৎসক হবেন। হোমিওপ্যাথিতে সুযোগ পেলেও এলোপ্যাথি নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা ছিল তার। ২০১৯ সালে ইউক্রেনে ডাক্তারি পরার সুযোগ পান তিনি।-আমাদের সময়.কম