Home রাজনীতি আওয়ামী লীগের লক্ষ্যকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার জন্যই ইসি ইভিএমের কথা আবারও বলেছে...

আওয়ামী লীগের লক্ষ্যকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার জন্যই ইসি ইভিএমের কথা আবারও বলেছে : ফখরুল

33

স্টাফ রিপোটার: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই ইসি শুধু আওয়ামী লীগ সরকারের ইচ্ছা পালন করার জন্য। তাদের যে লক্ষ্য আছে সরকার গঠন করার, সেই লক্ষ্যকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার জন্যই ইসি ইভিএমের কথা আবারও বলেছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেড়শ’ আসনে ইভিএমে ভোট করার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত বিএনপি প্রত্যাখান করেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ভোট হবে সম্পূর্ণ ব্যালটেই।

বুধবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এটা কখনোই জনগণ গ্রহণ করবে না, আমরাও গ্রহণ করছি না। এটাকে পুরোপুরিভাবে প্রত্যাখান করছি।

ইসির বিষয়ে তিনি বলেন, আপনারা খুব ভালো করে জানেন, তাদের ব্যাপারে আমাদের একটুও আগ্রহ নেই। তারা কী বলছে না বলছে, কী করছে -এটা আমাদের কাছে খুব আগ্রহ সৃষ্টি করে না। কারণ আমরা বিশ্বাস করি সরকার যদি পরিবর্তন না হয়, নির্বাচনের সময় কোনো ইসির পক্ষেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব না। আজকে প্রমাণ হলো, এই ইসিও সরকারেরই একটা অঙ্গ সংগঠন। কারণ ওরা (আওয়ামী লীগ) তিনশ’ আসনে ইভিএম চেয়েছে। আর ওরা সরকারের সঙ্গে (নির্বাচন কমিশন) একটা রফা করে এখন প্রস্তাব করেছে দেড়শ।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির দাবি খুব পরিষ্কার। নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে জনগণের দাবি প্রতিফলিত হবে না। জনগণের যে রায়, সেই রায় প্রতিফলিত হবে না। সুতরাং আমরা যেটা পরিষ্কার করে বলে এসেছি, অবিলম্বে এই সরকারকে তাদের ব্যর্থতার জন্য পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ করে তাদেরকে একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন করে গঠিত সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য ইসির পরিচালনায় একটা পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করতে হবে। ভোট হবে সম্পূর্ণ ব্যালেটে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সব রাজনৈতিক দল এমনকি জাতীয় পার্টি (জাপা) পর্যন্ত সবাই গিয়ে বলে এসেছিল, আমরা ইভিএম চাই না। কারণ ইভিএম দিয়ে জনগণের রায় সঠিকভাবে প্রতিফলিত হবে না। তারপরও বর্তমান যে ইসি করা হয়েছে, যাদের আমরা বলি অবৈধ। কারণ এই কমিশন গঠনও সঠিক পদ্ধতিতে হয়নি।

এর আগে দুপুরে মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফলভাবে পালনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। দিবসটি পালনে বিএনপি দুই দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান সারোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, নেওয়াজ হালিমা আরলি, তাইফুল ইসলাম টিপু, মহানগর বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, যুব দলের সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।