৩১ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল রেল রক্ষা অভিযান করবে সিপিবি-বাসদ

যুগবার্তা ডেস্কঃ আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল রেল রক্ষা অভিযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। ‘ভুলনীনি দুর্নীতি পরিহার করে রেলকে গণপরিবহনে পরিণত কর, ভাড়া কমাও’ -শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রগতি সম্মেলন কক্ষে সিপিবি সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আলোচনা করেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক, রেল শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ মারুফ হোসেন, রেল শ্রমিক নেতা আতিকুর রহমান, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবীব লাবলু, মহিউদ্দিন, সিপিবি কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল্লা ক্বাফী রতন। মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহম্মেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহ আলম, বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, জাহেদুল হক মিলু, সিপিবি’র রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ রাজনৈতিক, সামাজিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যক্তিগতভাবে লুণ্ঠন, ও আত্মসাৎ করার নীতি অনুসরণ করায় দেশে যেমন লুটপাট চলছে তেমনিভাবে গণপরিবহন হিসেবে রেলকেও দুর্বল ও ধ্বংস করা হচ্ছে। দেশের ভৌগোলিক অবস্থা, জনসংখ্যা, স্বল্প আয়তন এবং মানুষের আর্থিক ক্ষমতা বিবেচনা করলে গণপরিবহন হিসেবে রেলকে আধুনিক ও শক্তিশালী করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাংক, এডিবি’র পরামর্শ এবং পরিবহন বাণিজ্য উন্মুক্ত করার স্বার্থে রেলকে পরিকল্পিতভাবে পঙ্গু করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৪৪ বছরে রেল পথ বাড়ে নাই, রেল স্টেশন কমেছে, রেল এর কর্মচারি-কর্মকতা ৬০ হাজার থেকে কমে ২৭ হাজার করা হয়েছে, রেলওয়ে কারখানা ও ওয়ার্কসপগুলো পঙ্গু করা হয়েছে। আমদানির নামে টাকার অপচয় করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে রেল এর লোকসান বেড়েছে। লোকসানের জন্য দায়ী ভুলনীতি এবং লুটপাট ও দুনীতি। এ সব বন্ধ না করে বলির পাঠার মতো যাত্রী ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সঠিক নীতি ও ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করলে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির তো প্রয়োজন নেই বরং ভাড়া কমিয়েও রেলকে গতিশীল করা সম্ভব।
রেলের দুর্নীতি, লুটপাট, বন্ধ, ভুল নীতি পরিহার করা এবং যাত্রীসেব বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ‘রেল রক্ষা অভিযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।