স্বাক্ষর না করার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি আহবান

যুগবার্তা ডেস্কঃ বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাসদ (মার্কসবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহবায়ক হামিদুল হক আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে নাগরিকদের বাক্ স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাসমূহ বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন এবং কথিত এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশের নাগরিকদের কেবল কণ্ঠরোধ করবে না, এই আইনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের স্বার্থে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জবাবদিহিতাহীন কর্তৃত্ব ও স্বেচ্ছাচারীতা চালাবার সুযোগ করে দিয়েছে।

নেতৃবৃন্দ মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে এই আইনে স্বাক্ষর না করার জন্য আহবান জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভের সঙ্গে আরও বলেন, দেশের সচেতন নাগরিক, রাজনৈতিক দল ও সাংবাদিকসহ সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকে যুক্তিসহকারে যেসব সমালোচনা ও সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে, তার কিছুই সরকার আমলে নেয়নি। সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছা অনুযায়ী এই আইনের বিভিনś ধারায় অসাংবিধানিক ও মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষাবিরোধী ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে সরকারের জবাবদিহিতাহীন স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতাকে আরও নিরংশ করতে এবং বিরোধী মত ও পথকে দমন করতেই এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে তিন মন্ত্রীর ˆবঠকের পর আইনের নিবর্তনমূলক ধারাসমূহ সংশোধনের যে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল, তার কিছুই করা হয়নি। আইনটি এখন অধিকন্তু চূড়ান্ত করার পথেই সরকার নিয়েছে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশের মানুষ নিবর্তনমূলক এই আইন কোনোভাবেই গ্রহণ করবে না।
কালক্ষেপণ না করে এই আইনের সকল অগণতান্ত্রিক ধারা বাতিল করার জন্য বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আবারও দাবি জানান।
একইসঙ্গে নেতৃবৃন্দ অগণতান্ত্রিক ও নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।