যুগবার্তা ডেস্কঃ সৌদি আরবের মিনায় পদপৃষ্ট হয়ে অন্তত ৮০০ জন হাজি মারা গেছেন, দু’জন বাংলাদেশী। আহত হয়েছে প্রায় সস্রাধিক হাজি। সৌদি সুত্রে জানাগেছে নিহত হাজির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্স বলছে মিনায় এ ঘটনা ঘটে। মিনায় প্রতীকি শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর মারার জন্যে হাজিরা অগ্রসর হওয়ার সময় জামারাত সেতুর কাছে পৌঁছালে ধাক্কাধাক্কিতে পদপৃষ্ট হয়ে মারা যায়।
পদপৃষ্ট হয়ে যারা আহত হয়েছেন তাদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে পদপৃষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখনো ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মীরা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। হাজিদের ভিড়ে উদ্ধারকর্মীরা বিকল্প পথ ব্যবহার করে তাদের তৎপরতা অব্যাহত রাখছেন এবং বহু আহত হাজিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে পাঠানোর আগে অনেক হাজিকে ঘটনাস্থলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ঘটনা স্থল থেকে হাজিদের উদ্ধার করে প্রথমে জামারাত সেতুর কাছে একটি জরুরিভাবে স্থাপিত হাসপাতালে পাঠানোর পর সেখানে স্থানের সংকুলান না হওয়ায় আশে পাশের আরো চারটি হাসপাতালে আহত হাজিদের পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি হেলিকপ্টারে করে আহত হাজিদের মক্কায় হাসপাতালে নেয়া হয়।
টুইটারে সৌদি সিভিল ডিফেন্স টিমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অনেক আহত হাজিকে ঘটনাস্থল থেকে সামান্য ফাঁকা স্থানে এনে চিকিৎসকা দেয়া হয়। বিভিন্ন হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা দেয়ার জন্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এ মাসের শুরুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজিরা যখন সৌদি আরব পৌঁছাতে শুরু করে তখন প্রচ- ঝড় ও বৃষ্টিতে একটি ক্রেন ভেঙ্গে হারাম শরীফে পড়ে গেলে অন্তত ১১১ জন হাজি মারা যান। একই হজ মৌসুমে হাজিদের হতাহতের মত দ্বিতীয় ঘটনা ঘটল মিনায়। গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব সরকার হাজিদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ বৃদ্ধির জন্যে যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে বড় ধরনের বেশ কিছু উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
হাজ্বীদের মৃত্যুর ঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।