যুগবার্তা ডেস্কঃ আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। স্মারকলিপির মাধ্যমে আগামী মে দিবসের আগেই মজুরি বৃদ্ধির লক্ষে মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম শুরু ও গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিম্নতম মূল মজুরি (১০০০০/-) দশ হাজার টাকা, মোট মজুরি (১৬০০০/-) ষোল হাজার টাকা এবং সোয়েটারের পিসরেটসহ সকল অপারেটরের একই হারে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানান। সংগঠনের কার্যকরি সভাপতি সাদেকুর রহমান শামীমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি এড. মন্টু ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু, দপ্তর সম্পাদক এম,এ শাহীন, কেন্দ্রীয় নেতা দুলাল সাহা, রাসেল ইসলাম সুজন, মো. নুর ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সবচেয়ে বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী গার্মেন্ট শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও জীবন ধারণ উপযোগী মজুরি থেকে বঞ্চিত। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে কম মজুরি পান বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকরা। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিকদের সর্বশেষ মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছিল। মজুরি বৃদ্ধির সাথে সাথেই বাড়ীওয়ালারা বাড়িভাড়া বৃদ্ধি করেছিল। গত তিন বছরে ৪ থেকে ৬ বার বৃদ্ধি পেয়ে বাড়ীভাড়া প্রায় দ্বিগুন হয়েছে। বারবার গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। পরিশেষে পে-স্কেলভুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের মজুরি বৃদ্ধির পর অতিমাত্রায় দ্রব্যমূল্য, বাড়ীভাড়া-গাড়ী ভাড়া, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ সব ধরনের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বর্তমানের প্রাপ্ত মজুরিতে গার্মেন্ট শ্রমিকদের পক্ষে খেয়ে পরে বেঁচে থেকে উৎপাদন অব্যাহত রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যার ফলে উৎপাদন অব্যাহত রাখা অতিব জরুরী বিধায় অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে গার্মেন্ট শিল্প সেক্টরের মজুরি বোর্ডকে কার্যকর করে মজুরি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকার, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিদেশী ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। আর মাত্র ২৫ দিন পরে মহান মে দিবস। এই মে দিবসের আগেই মজুরী বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত না নিলে মে দিবস হইতেই বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকরা তীব্রতর লড়াইয়ের মাধ্যমে মজুরী বৃদ্ধি করতে বাধ্য করবে। সেই লড়াইয়ে উৎপাদন ব্যাহত হলে বা শিল্পে কোনো ধরণের সংকট সৃষ্টি হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকার ও মালিকদেরই নিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আগামী ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা হত্যাকা- দিবস ও ১লা মহান মে দিবস পালনের মাধ্যমে মজুরী বৃদ্ধির সংগ্রাম জোরদার করার জন্য সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রতি উদার্ত আহ্বান জানাই।