যুগবার্তা ডেস্কঃ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর আগেই সরকারি দল কর্তৃক বেপরোয়াভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
জোটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকারি দল ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছে। তারা নানাভাবে সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাচ্ছে। জনগণের টাকায় ‘থ্যাংকস টু পিএম’ শিরোনামে শেখ হাসিনার পক্ষে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর আগেই অনেক প্রার্থীর প্রচারণা খরচ নির্ধারিত সর্বোচ্চ নির্বাচনী ব্যয়কে ছাড়িয়ে গেছে। জমাকালো বিলবোর্ড, ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টার ইত্যাদি প্রচারসামগ্রী এখনও সরানো হয়নি।
আজ মুক্তিভবনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাসদ-এর কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)-এর কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য লক্ষ্মী চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহবায়ক হামিদুল হক, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জাান রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুদ্দিন কবির আতিক।
সভায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বার বার বলা সত্ত্বেও, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এমনকি ইসি পরোক্ষভাবে মদত দিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের ওপর পুলিশের বেআইনিভাবে খবরদারির ব্যাপারেও ইসি নীরব। তাই প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশ ইসির অধীনে কাজ করছে, নাকি ইসি পুলিশের অধীনে কাজ করছে?
বাম জোটের নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আগে থেকেই জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। ফলে তাদের উচিত কাজ হচ্ছে জনগণের মনে ন্যূনতম গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা। তার জন্য সরকার ও সরকারি দলের তল্পিবাহক না হয়ে ইসিকে নিরপেক্ষ ও দৃঢ় ভ‚মিকা পালন করা প্রয়োজন। কিন্তু ইসি সেই পথে হাঁটছে না। অবাধ নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরির ন্যূনতম চেষ্টাও দেখা যাচ্ছে না। এভাবে ইসির প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা অব্যাহত থাকলে, এবারের নির্বাচনও কার্যত একটা প্রহসনে পরিণত হবে।