বিদেশি মিশনের রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল

তরিকুল ইসলাম : জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিনক্ষণ নির্ধারণের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নজরে রাখতে চায় বিভিন্ন দেশ। তাই ঢাকার বিভিন্ন দূতাবাস ও মিশনগুলো পরিস্থিতি মূল্যায়ণে তাদের রাজনৈতিক বিভাগের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছে বলে জানা গেছে।

কূটনৈতিক সূত্র মতে, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের উন্নয়ন, দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ফেরানো এবং অহিংস পরিবেশে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উপর জোর দিয়ে আসছিলো বৈশ্বিক সংস্থা ও বিভিন্ন দেশ। বিশেষ করে জাতিসংঘ, ইরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের সংলাপ বসার উৎসাহ যুগিয়ে ছিলো। তাদের উৎসাহেই সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের সংলাপ হয়েছে।

এমনকি নির্বাচন কমিশন তথা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালীকরণ, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ছবিযুক্ত পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রণয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যদিও এবারের আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশ, অন্যান্য বৈশ্বিক সংস্থা ও জাতিসংঘসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো পর্যন্ত পর্যবেক্ষক না পাঠানোর বিষয়ে অনড় রয়েছে।

সর্বশেষ ২০০৮ সালে সরাসরি নির্বাচন পর্যবেক্ষন পাঠিয়েছিলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সে সময় ইই’র প্রায় ৮০০ সদস্যের পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিল। এরপর ২০১৪ সালের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হওয়ায় ইইউ, কমনওয়েলথ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। তবে, বাংলাদেশে ইইউ পর্যবেক্ষক না পাঠালেও এবার দুই সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেশন প্রধান রেনসে টিরিঙ্ক।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে আমরা গভীর আগ্রহ নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করি এবং বিশ্বাস করি বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। কেননা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করাটা মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল। ঢাকায় জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারহানহলজ বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুব ভালোভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য রাজীনিতিতে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন ঘটবে।-আমাদের সময়.কম