বরিশাল অফিস.
ভোরের আলোর আলোক রশ্মি মসুর, ভুট্টা, তিল তিষির পাতায় জমে থাকা শিশির কণার উপর পড়ে যেমন অপরূপ শোভার সৃষ্টি করে তেমনি বিকেলের গোধূলী লগ্নে সরিষা ক্ষেতে যেন প্রকৃতিকে করে তোলে অপরুপ। হলুদে হলুদে সেজেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বিস্তৃত ফসলের মাঠ।
সূত্রমতে, গৌরনদী উপজেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। আর এ ফসলের জন্য অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনাও রয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষক বন্ধু মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, অনুকূল আবহাওয়া আর এবার গম চাষের বদলে চাষিরা অন্যান্য রবি ফসল আবাদ বেশি করছেন। গত বছর এসব ফসলের ন্যায্যমুল্য পাওয়ার কারণেই চাষিরা রবি শষ্যের দিকে বেশি ঝুঁকেছেন। চলতি মৌসুমে উপজেলায় মসূরী, তিল, সরিষার যে পরিমান আবাদ হয়েছে তা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুন। বিশেষ করে মসুর ও সরিষার আবাদ বেড়েছে বেশী।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় কৃষকরা সরিষার পাশাপাশি রকমারি রবি ফসল চাষ করেছেন। বিশেষ করে খন্ড খন্ড জমিতে লাগানো সরিষার হলুদ ফুলের অপরূপ দৃশ্য মাঠে-প্রান্তরে শোভা পাচ্ছে। চাষিরা জানান, প্রতিবিঘা জমিতে সরিষা চাষের শুরু থেকে ঘরে ওঠানো পর্যন্ত আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা খরচ হয়। মোটামোটি ভালো ফলন হলে উৎপাদন খরচ বাদে সাত থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হয়ে থাকে। তবে বাজার ভালো থাকলে সরিষায় আরও বেশি লাভ হবে বলেও তারা উল্লেখ করেন।