বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জিয়াউর রহমানসহ আর কারা জড়িত ছিলেন পরিষ্কার হওয়া দরকার -ড. হাছান মাহমুদ

যুগবার্তা ডেস্কঃ
বঙ্গবন্ধু সরকারকে অস্থিতিশীল করা করা আটজন এমপিকে হত্যা, বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারকে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা, মুক্তিযোদ্ধা সেনাদের হত্যা ও ফাঁসি, ব্যাংক বাজার, থানা, পুলিশ ফাড়ি লুট এর পরিকল্পনাকারী হুকুমদাতা জিয়াউর রহমানের মরনোত্তর বিচারের দাবীতে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ন্যাপ ভাসানী ও কাজী আরেফ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানবন্ধনে এ দাবি করেছেন ।
মানববন্ধনে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। প্রধান আলোচক ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, এডভোকেট আ.ক.ম মোজ্জাম্মেল হক এমপি।
বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, শাহ্জাহান আলম সাজু, এম.এ করিম, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোসতাক আহম্মেদ ভাসানী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক, অরুন সরকার রানা, আওয়ামী লীগ নেতা আ.স.ম মোস্তফা কামাল, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু, নারী নেত্রী আরজিনা আক্তার খুকি, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, কবি শাহ্নাজ পারভীন প্রমূখ।
প্রধান অতিথির ভাষনে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তা তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউল্লাহ্ও বক্তব্যের মাধ্যমে উঠে এসছে। সেই সব বক্তব্য এখনো ফেইসবুকে আছে। জেনারেল শফিউল্লাহ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সময় সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি সেনা প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে রক্ষ করতে পারেননি, সেই ব্যর্থতার দায় তাকেও নিতে হবে। একই সঙ্গে তিনি এই ব্যর্থতার দায়ও স্বীকার করেছেন। জেনালে শফিউল্লাহকে ওইসব বক্তব্য আরও বেশি করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানসহ আরও কে কে কিভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যা কান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলো তা জাতির সামনে পরিষ্কার হওয়া দরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ম.ম. মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন, শুধু তিনিই নন, তার পরিবার এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর রক্তের পেছনে লেগে আছে। বঙ্গবন্ধুর সেসব খুনিরা এখনও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালাতক রয়েছেন, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দন্ড কার্যকর করা হবে।