যুগবার্তা ডেস্কঃ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্পেরও জনক। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে অপরূপ বাংলাদেশের ছবি তুলে ধরতে চেয়েছেন। কক্সবাজারকে সুইজারলান্ডের জেনেভা শহরের মতো আন্তর্জাতিক হাবে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতার আগেই ৩২ নম্বরের বাড়িতেই তাঁর সাথে একান্ত আলাপে বঙ্গবন্ধু এ আকাংখা ব্যক্ত করেছিলেন বলে মন্ত্রী জানান। কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে যে ঝাউবন তা বঙ্গবন্ধু লগিয়েছিলেন । পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি।
তিনি আজ রবিবার সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪১ তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কনফারেন্স হলে বিটিবি আয়েজিত ‘সংগ্রামী জীবন থেকে সোনার বাংলা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
স্মৃতিচারণ করতে গিযে মন্ত্রী বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু যেখানে আটক ছিলেন তার পেছনে তিনি ছিলেন, সে সময় তাকে সপ্তাহে ৪ দিন কোর্টে নেয়া হত এর সুবাদে বাইরের দুনিয়ার যে সব খবরাদি তিনি পেতে তা বঙ্গবন্ধুকে জানাতেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে তিনি আসেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে বর্তমান সরকারের যে উন্নয়ন ভাবনা তার সূচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁরই আজন্ম লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের নিরন্তর প্রয়াস অব্যাহত আছে। জঙ্গীবাদী সন্ত্রাস চালিয়ে এ প্রয়াস রুদ্ধ করা যাবে না। এ সন্ত্রাস জতির কাছে অপরিচিত নয়। ১৯৭১ সালেও ধর্মের নামে সন্ত্রাস চালিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করার পায়তারা হয়েছিলো, কিন্তু আমরা সম্মিলিত প্রতিরোধে তাদের পরাতিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। আজও উগ্রবাদ ও জঙ্গীবাদকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতি পরাজিত করবো।
বিটিবির সিইও আখতারুজ জামান খান কবিরের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তৃতা করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব এসএম গোলাম ফারুক, বিপিসির চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী প্রমুখ। আলোচনাসভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিবি’র পরিচালক ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস।