রাজশাহী অফিসঃ মহানগরীর এক কলেজছাত্রীকে (১৭) তার আপন ফুফা দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নগরীর মতিহার থানা পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নামে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি নাটোর সদর উপজেলার সাধুপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম মোহাম্মদ হোসাইন। জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নির্যাতিত ওই কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, নগরীর উপকণ্ঠ হরিয়ান এলাকার ওই কলেজছাত্রীকে গত ৯ জুন ঢাকায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে যান জাহাঙ্গীর। পরবর্তীতে তার পরিবারের কাছে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। এরপর থেকেই মেয়েটির কোনো খোঁজ পাওয়া যা”িছল না। জাহাঙ্গীরও মোবাইলে কথা বললেও রাজশাহীতে আসছিলেন না।
পরবর্তীতে ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পারেন, ঢাকার মধ্য বাড্ডা এলাকার একটি বাসায় মেয়েটিকে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হ”েছ দিনের পর দিন। এরপর তারা মতিহার থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পেয়ে রোববার সকালে ঢাকার বাড্ডা থানা পুলিশের সহায়তায় মেয়েটির মাকে নিয়ে ওই বাসায় অভিযান চালায় মতিহার থানার পুলিশ। এ সময় ওই বাসা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে, তার ফুফা তাকে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন। মেয়েটির এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতেই জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, সোমবার সকালে মেয়েটির মা তার মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আর ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।