যুগবার্তা ডেস্কঃ আজ সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বর্তমান প্রেক্ষাপট ও সমতলের আদিবাসীদের জন্য করণীয় বিষয়ে সুপারিশ’ শীর্ষক বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রী জনাব রাশেদ খান মেনন বলেন, “২০১৮-১৯ অর্থ বছরের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে সরকার প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা করেছে যা মোট বাজেটের ১৩.৮ শতাংশ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমতলের আদিবাসীদের শিক্ষা বা সামাজিক সচেতনাতায় সমস্যা রয়েছে ঠিকই কিন্তু তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ভূমি সমস্যা। দিনাজপুরসহ অন্যান্য অঞ্চলে সমতলের আদিবাসীদের সকল সমস্যার মূলে রয়েছে তাদের জন্য কোন ভূমি সুরক্ষা আইন না থাকা। এজন্য খুব শিঘ্রই সরকার সমতলের আদিবাসীদের জন্য আলাদা ভূমি কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এটি করা গেলে সমতলের আদিবাসীদের সব সমস্যা সমাধান হবে। সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে দেশের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীদের এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিটুপি প্রজক্টের মাধ্যমে দেশের চারটি জেলার প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষকে অনলাইনের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। বর্তমানে আরো ১৬ টি জেলায় এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে। এর পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ৫০ লক্ষ পরিবারের জন্য মাত্র ১০ টাকা দরে প্রতিজনকে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। সামনে আরো ১৩২ টি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রমের উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। এভাবে উন্নয়ন কাজ চলতে থাকলে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সাথে নিয়েই অচিরেই আমরা দেশের শতভাগ উন্নয়ন করতে সক্ষম হবো।”
খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির, সামাজিক সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ খালেদ হাসান, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এর সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ। অনুষ্ঠানে গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ শাহান, আয়োজকদের পক্ষে আলোচনা করেন ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর পরিচালক চন্দন জেড গোমেজ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও সঞ্চালন করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশন এর খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত সমতল আদিবাসী নেত্রীবৃন্দের নানা সমস্যার কথা শোনেন ও তা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।