যুগবার্গা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, রোববার বিকাল ৪টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হবে।
কানাডায় গ্লোবাল ফান্ড সম্মেলন এবং যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে ঈদুল আজহার পরদিন ঢাকা ছাড়েন শেখ হাসিনা। ১৭ দিনের সফর শেষে শুক্রবার বিকালে তিনি দেশে ফেরেন।
এই সফরে ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।
এর আগেও বিদেশ সফরের পর বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে বিদেশ সফরের বাইরেও দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি।
সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও পক্ষে-বিপক্ষে চলমান বিতর্কের মধ্যে সর্বশেষ গত ২৬ অগাস্ট তিনি গণমাধ্যমের সামনে আসেন।
কানাডার পথে গত ১৪ সেপ্টেম্বর লন্ডনে একদিন অবস্থানের পর শেখ হাসিনা মন্ট্রিলে ‘ফিফথ রিপ্লেসমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গ্লোবালফান্ড (জিএফ)’-এ যোগ দেন।
১৬ সেপ্টেম্বর মন্ট্রিয়ালের হায়াত রিজেন্সিতে এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন। সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।
কানাডা সফর শেষে শেখ হাসিনার ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে নিউ ইয়র্ক পৌছান।
১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদরদপ্তরে উদ্বাস্তু ও অভিবাসনের উপর সাধারণ পরিষদের উচ্চ পযার্য়ের প্ল্যানারি বৈঠকে ভাষণ দেন তিনি। সেদিন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সাং সু চির সঙ্গে তিনি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ‘গ্লোবাল কমপেক্ট ফর সেফ’, ‘রেগুলার অ্যান্ড অর্ডালি মাইগ্রেশন: টুওয়ার্ডস রিয়ালাইজিং দ্য ২০৩০ এজেন্ডা ফরসাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাচিভিং ফুল রেসপেক্ট ফর দ্য হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড মাইগ্র্যান্টস’ শীর্ষক গোলটেবিলে কো-চেয়ারের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরে তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আয়োজিত কাউন্টার টেররিজমের উপর এশিয়ান লিডার্স ফোরামের বৈঠকে অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আয়োজিত উদ্বাস্তু বিষয়ক একটি বৈঠকও যোগ দেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনায় বক্তব্য রাখেন। পরে নিউ ইয়র্কে হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
শেখ হাসিনা ২২ সেপ্টেম্বর ভার্জিনিয়ার উদ্দেশে নিউ ইয়র্ক ছাড়েন। সফরের সর্বশেষ কর্মসূচিতে বুধবার সেখানে বাংলাদেশিদের দেওয়া একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেন।
২৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার কথা থাকলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর জন্য তা পিছিয়ে যায়।